আজকাল ওয়েবডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে কোহলির সেঞ্চুরি। পারথের অপটাস স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় শতরান বিরাটের। স্যর ডনের দেশে কোহলির প্রত্যবর্তন দেখে মান্না দে-র সেই বিখ্যাত গানের লাইন মনে পড়তে বাধ্য, হৃদয়ে লেখো নাম, সে নাম রয়ে যাবে। 

আজহারের যেমন ইডেন, ভিভিএস লক্ষ্মণের যেমন ক্রিকেটের নন্দনকানন। তেমনই অস্ট্রেলিয়ার মাঠ কোহলির পয়মন্ত। এদিন দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে কোহলি ছাপিয়ে গেলেন শচীন তেণ্ডুলকরকেও। ১৪টি ম্যাচে কোহলির শতরানের সংখ্যা ৭। তাঁর পরেই শচীন। অস্ট্রেলিয়ায় ২০টি ম্যাচে তাঁর সেঞ্চুরির সংখ্যা ৬। সুনীল গাভাসকর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ১১টি ম্যাচ থেকে ৫টি সেঞ্চুরি করেছেন। ভিভিএস লক্ষ্ণণ আবার ৪টি শতরান হাঁকান ১৫টি ম্যাচ থেকে। চেতেশ্বর পূজারার রেকর্ডও অস্ট্রেলিয়ায় মন্দ নয়। ১১টি ম্যাচে তাঁর সেঞ্চুরির সংখ্যা ৩টি।

 

?ref_src=twsrc%5Etfw">November 24, 2024

রিকি পন্টিং বলেছিলেন, গত পাঁচ বছরে দুটো সেঞ্চুরির মালিক কোহলি। অন্য কেউ হলে দলে সুযোগও পেত না। বিরাট কোহলি চুপ করে ছিলেন। দেশের মাটিতে তাঁর ব্যাট বোবা থাকতে দেখে গেল গেল রব উঠেছিল। বিরাট কোহলি তবুও একটি শব্দ খরচ করেননি। সময়ের অপেক্ষায় ছিলেন। স্যর ডনের দেশে বিরাট ফিরলেন রাজার মতো। এই জন্যই তিনি কিং কোহলি। তাঁর একসময়ের চরম প্রতিদ্বন্দ্বী মিচেল জনসন কোহলির কাছ থেকে দেখতে চেয়েছিলেন সেঞ্চুরি। বিরাটের শাপমুক্তি ঘটল। এক সেঞ্চুরিতে জনসনের ইচ্ছাপূরণ করলেন, নিন্দুকদের থামালেন আর সগর্বে গোটা দুনিয়াকে জানিয়ে দিলেন, তিনি এখনও শেষ হয়ে যাননি। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতেই কোহলি ফিরে পেলেন রাজ্যপাট।