আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ চরম আর্থিক সমস্যায় ভুগছেন বিনোদ কাম্বলি। শারীরিক অসুস্থতা তো রয়েইছে। অথচ এই কাম্বলির নামই একসময় উচ্চারিত হত শচীনের সঙ্গে।


টেস্টে হাজারের উপর রয়েছে রান। দ্বিশতরান আছে দুটি। ওয়ানডেতে আছে প্রায় আড়াই হাজার রান। শতরান দুটি। সেই ক্রিকেটারই একসময় হারিয়ে যান। শোনা যায় নেশা, নারীসঙ্গই শেষ করে দিয়েছিল তাঁর কেরিয়ার। 


মুম্বইয়ে রমাকান্ত আচরেকারের কাছেই ক্রিকেটের হাতেখড়ি হয়েছিল শচীন ও কাম্বলির। স্কুল ক্রিকেটে জুটিতে রেকর্ড রান। প্রায় একসঙ্গেই ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়া। বেশ কয়েকবছর খেলেওছিলেন। কিন্তু আস্তে আস্তে হারিয়ে যান আন্তর্জাতিক আঙিনা থেকে। যার পিছনে ছিল নেশা, নারীসঙ্গ, ফিটনেসের অভাব, বৈবাহিক জীবনে সমস্যা ইত্যাদি ইত্যাদি। 


সম্প্রতি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন কাম্বলি। দীর্ঘদিন রিহ্যাবে ছিলেন। মূত্রনালিতে সংক্রমণ হয়েছিল। এখন অবশ্য একটু সুস্থ আছেন। 


কাম্বলির মতোই দশা হতে চলেছে পৃথ্বী শ’‌র। সাড়া জাগিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটে এলেও ফিটনেসের অভাব ও নেশার চক্করে তিনিও এখন ফোকাসহীন। আইপিএলেও এবার দল পাননি। যদিও মুম্বই টি২০ লিগে সম্প্রতি কয়েকটি ম্যাচে রান পেয়েছেন। পৃথ্বীরও যাতে কাম্বলির মতো দশা না হয় তা মনে করিয়ে দিয়ে দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার যুবরাজ সিংয়ের বাবা যোগরাজ সিং বলেছেন, ‘‌একটা সময় কাম্বলিকে বলেছিলাম এইসব পার্টি করা বন্ধ করে দাও। সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দাও। মেয়েদের সঙ্গে ঘোরা বন্ধ করো। তুমি যেভাবে চলছ তাতে শেষ হয়ে যাবে। কান্না ছাড়া জীবনে কিছুই থাকবে না। আলাদা করে ওর সঙ্গে কথা বলেছিলাম। কিন্তু লাভ হয়নি। জবাবে কাম্বলি বলেছিল এটাই তো গ্ল্যামার। আর আমি রাজা।’‌ 


সত্যিই তখন যদি এই কথাগুলো শুনতেন কাম্বলি!‌