আজকাল ওয়েবডেস্ক: মেক্সিকো বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেই দুটো গোল। প্রথম গোলটির নাম 'হ্যান্ড অফ গড'। দ্বিতীয় গোলটি পরিচিত 'গোল অফ দ্য সেঞ্চুরি' হিসেবে। দুটো গোলের মালিক একজনই। তিনি দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা। মেক্সিকো বিশ্বকাপের মহানায়ক তিনি। তাঁর পায়েই লেখা হয়েছিল নতুন ইতিহাস।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচটা ছিল একইসঙ্গে বিতর্কিত ও রূপকথার। মাঝমাঠের কাছে মারাদোনা বল পেয়েছিলেন সতীর্থ এনরিকের কাছ থেকে। তার পরের ঘটনা ইতিহাস। ওরকম গোল একশো বছরেও কি সম্ভব! স্তম্ভিত ধারাভাষ্যকার প্রায় কাঁদতে কাঁদতে বলেছিলেন, ''ঈশ্বর, এ কী দেখলাম! কোন গ্রহ থেকে তুমি এসেছো দিয়েগো!''
আরও পড়ুন: এখনকার প্রজন্ম খেলাধুলা করে না, চিন্তিত বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ধোনি, তুলে ধরলেন নিজের মেয়ের কথাও
তার আগে আরও একটি গোল করেছিলেন আর্জেন্টিনার বিখ্যাত ১০ নম্বর
জার্সিধারী। ইংল্যান্ডের গোল আগলানোর দায়িত্বে ছিলেন পিটার শিলটন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন মারাদোনা গোল করার সময়ে হাতের সাহায্য নিয়েছিলেন। সেই গোলই 'হ্যান্ড অফ গড' বলে পরিচিতি পায়।
সমাজের একাধিক পুরনো দুর্মূল্য জিনিস নিলামে চড়া দামে বিক্রি হয়। জিনিসগুলির দাম নির্ধারণ করা হয় তার চাহিদা এবং বর্তমানে তা কতটা দুর্মূল্য সেই বিচারে। শিলটনের সেই জার্সি এবার নিলামে উঠবে।

১৯৮৬ বিশ্বকাপের মারাদোনার জার্সি ইতিমধ্যে নিলামে উঠেছিল ৭.১ মিলিয়ন পাউন্ডে। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৭৩ কোটি টাকা। এবার ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি গোলকিপার পিটার শিলটনের জার্সি উঠছে নিলামে। নিলাম সংস্থা ‘গ্রাহাম বাড অকশনস’ সূত্রে জানানো হয়েছে, বিশেষ ফটো-ম্যাচিং পদ্ধতিতে জার্সিটি যাচাই করে তবেই নিলামের জন্য তোলা হবে। কিছু জায়গা ছিঁড়ে গেলেও জার্সিটি ভালই রয়েছে দাবি করেন আয়োজকরা।
এই ঐতিহাসিক জার্সির দাম ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকা হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। শুধু ইংল্যান্ডের গোলকিপারের জার্সি নিলামে ওঠানো হচ্ছে তা নয়, ১৯৫৮-র বিশ্বকাপজয়ী পেলের পদক, ১৯৬৬-র গোলকিপার গর্ডন ব্যাঙ্কসের পদক, অ্যালান বল ও মার্টিন পিটার্সের ম্যাচ জার্সিও থাকছে নিলামের তালিকায়। এই মহানিলাম আয়োজিত হবে আগামী বছরের জুলাই মাসে। বিশ্বকাপ ফাইনালের ঠিক আগে।

বিক্রি হয়ে গিয়েছে ‘হ্যান্ড অফ গড’-এর সেই বল। তবে সেই বলের দাম বিশেষ ওঠেনি। নিলামে ওই বল প্রায় সাড়ে২০ লক্ষ পাউন্ডে বিক্রি হয়। মনে করা হয়েছিল ৩০ লক্ষ পাউন্ড দাম উঠবে বলটির। সেই বলটি ছিল তিউনিশিয়ার রেফারি আলি বিন নাসেরের কাছে। আর্জেন্টিনা-ইংল্যান্ড ম্যাচটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
মেক্সিকো বিশ্বকাপ দেখিয়ে দিয়েছিল, একক দক্ষতায় একজন বিশ্বকাপের মতো প্রতিযোগিতা জিতে নিতে পারে। মারাদোনা সেই ‘অন্য’ পৃথিবীর জনপ্রিয়তম নায়ক। ফুটবল-প্রতিভার স্ফুরণ ছড়িয়ে যিনি লোকগাথায় পরিণত। তাঁর নামের সঙ্গে জড়িত জার্সি, বল, প্রতিপক্ষের জার্সি নিলামে উঠছে।
