আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাজকোটে সিরিজ জয়ের হাতছানি ছিল ভারতের সামনে। কিন্তু রাজার মতো খেলতে পারেনি সূর্যকুমার যাদবরা। সিরিজে ব্যবধান কমানোর পাশাপাশি টিকে থাকে ইংল্যান্ড। ভারত অধিনায়কের দাবি, ম্যাচ তাঁদের হাতের মুঠোয় ছিল। কিন্তু ইংল্যান্ডের একজন বোলার পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। প্রশংসা করেন আদিল রশিদের। দাবি, তাঁর বোলিং পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। চার ওভারে ১৫ রান দিয়ে এক উইকেট তুলে নেন ইংল্যান্ডের স্পিনার। সেই উইকেট সবচেয়ে ছন্দে থাকা তিলক বর্মার। পাশাপাশি তাঁর কৃপণ বোলিং ভারতের রান তোলার গতিকে মন্থর করে দেয়। সূর্যকুমার বলেন, 'আমার মনে হয়েছিল পরের দিকে শিশির পড়বে। আমার মতে, হার্দিক পাণ্ডিয়া এবং অক্ষর প্যাটেল ব্যাট করার সময় ম্যাচ আমাদের হাতেই ছিল। আদিল রশিদের কৃতিত্ব প্রাপ্য। ও খুব ভাল বল করেছে। সেই কারণেই ও বিশ্বমানের বোলার। ও আমাদের স্ট্রাইক রোটেট করতে দেয়নি। আমার মনে হয়, সবসময় টি-২০ ম্যাচ থেকে কিছু শেখা যায়। ব্যাটিংয়ের দিক থেকে আমরাও কিছু শিখলাম। ড্রয়িং বোর্ডে ফিরতে হবে। ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে।'
শুরুতে ফিল সল্টের উইকেট হারালেও দলকে ভালই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন বেন ডাকেট এবং জস বাটলার। একটা সময় ২ উইকেটে ইংল্যান্ডের রান ছিল ৮৩। সেখান থেকে ১২৭ রানে ৮ উইকেট হারায়। দ্রুত উইকেট হারানো নিয়ে চিন্তিত বাটলার। তবে লোয়ার অর্ডারের ব্যাটারদের প্রশংসা করেন। পাশাপাশি প্রয়োজনে জ্বলে ওঠার জন্য বোলারদেরও বাহবা দেন। বাটলার বলেন, 'আমার মতে, উইকেট একটু আলাদা ছিল। ডাকেট ভাল খেলেছে। আমরা নিয়মিত উইকেট হারাই। তাতে আমরা খুবই হতাশ। তবে রশিদ এবং উডকে কৃতিত্ব দিতে হবে। ওদের পার্টনারশিপ গুরুত্বপূর্ণ। সেটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। বোলাররাও ভাল বল করেছে। নিজেদের দক্ষতার পরিচিত দেয়। উইকেটের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিয়েছে। রশিদ আমাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ প্লেয়ার। ওকে দলে পেয়ে আমরা ভাগ্যবান। ওর বোলিংয়ে বৈচিত্র আছে।' প্রসঙ্গত, ১৮তম ওভারে আউট হন লিয়াম লিভিংস্টোন। শেষ উইকেটে আদিল রশিদ এবং মার্ক উড ২১ রান যোগ করেন। এটাই শেষপর্যন্ত দুই দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেয়।
