আজকাল ওয়েবডেস্ক: আধুনিক ক্রিকেটের পেসারদের দিকে আঙুল তুললেন সুনীল গাভাসকর। কোনও নাম না নিলেও, স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যশপ্রীত বুমরার দ্বিতীয় টেস্ট না খেলার বিষয়টিকে কেন্দ্র করেই এমন মন্তব্য করেন কিংবদন্তি। কোনওদিনই বোলারদের জিমে ভারী ওজন তোলা পছন্দ করেন না সানি। অতীতে এই নিয়ে মন্তব্যও করেন। তিনি মনে করেন, জিমে অতিরিক্ত ওজন তোলার জন্যই পিঠের চোটে ভোগেন ফাস্ট বোলাররা। অতীতের উদাহরণ টেনে আনেন সানি। দাবি করেন, আগে বোলারের অনেক কম চোট পেত। কারণ তাঁরা জিমে এত বেশি ওজন তুলত না। সম্প্রতি আরও একবার নিজের খেলোয়াড় জীবনের প্রসঙ্গ তোলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। কপিল দেবের নাম উল্লেখ করে বর্তমান পেসারদের একহাত নেন।
ধারাভাষ্য চলাকালীন গাভাসকরকে প্রশ্ন করা হয় , 'আগে প্রযুক্তি এত উন্নত ছিল না। রিকভারি পদ্ধতিও ভাল ছিল না। তাসত্ত্বেও কীভাবে একটানা খেলে গিয়েছেন কপিল দেব, জাভাগাল শ্রীনাথরা?' এর উত্তরে সানি জানান, পেশাগত দিক থেকে যা গুরুত্বপূর্ণ, সেটাই করতেন তাঁর সময়ের বোলাররা। গাভাসকর বলেন, 'কীভাবে ওরা খেলত? আমার মনে হয়, ওদের ট্রেনিং পদ্ধতি কিছুটা আলাদা ছিল। কপিল সাধারণত জিমে যেত না। ও দৌড়ে বেড়াত। তারপর নেটে পাঁচ, ছ'জনকে বল করত। তারপর নিজে ব্যাট করত। শেষে আবার বল করত। পেশাগত দিক থেকে যা প্রয়োজন, সেটাই করত। ওর কাজ বল করা। তাই ওর পেশি এবং সারা শরীর অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিল। অসাধারণ অ্যাথলিট ছিল। যেকোনো খেলায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ক্ষমতা ছিল।' বর্তমানে পেসারদের চোট-আঘাত আধুনিক ক্রিকেটে বড় সমস্যা। ব্যতিক্রম নয় ভারতীয়রাও। অতীতে চোট নিয়ে দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে ছিলেন বুমরা। যার ফলে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টেস্টে তাঁকে মাত্র তিনটেতে খেলানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মহম্মদ সামিও দীর্ঘদিন চোটের জন্য মাঠের বাইরে ছিলেন। এই তালিকায় রয়েছেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল এবং উমরান মালিকের মতো তরুণ পেসাররাও।
