আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রতিপক্ষ তো কী হয়েছে? চলতি অ্যাশেজ সিরিজে ইংল্যান্ড দলকে ঘিরে যাবতীয় সমালোচনার মধ্যেই তাঁদের পাশে দাঁড়ালেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা ব্যাটার স্টিভ স্মিথ।

দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্টের মাঝখানে কুইন্সল্যান্ডের নুসায় ইংল্যান্ড দলের বিরতির সময় মদ্যপান ঘিরে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে স্মিথ জানালেন, বিষয়টি তিনি কিছুটা হলেও বুঝতে পারছেন।

অ্যাডিলেড ওভালে তৃতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার ৮২ রানের জয়ের পর এই মন্তব্য করেন স্মিথ। পারথ ও ব্রিসবেনে বড় ব্যবধানে হারের পর থেকেই ইংল্যান্ডের আত্মবিশ্বাস কার্যত ভেঙে পড়ে।

তার ওপর ব্রিটিশ ও অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যমে দাবি ওঠে, বেন স্টোকসের নেতৃত্বাধীন দলটি মাঝের বিরতিতে নুসায় অতিরিক্ত মদ্যপানে জড়িয়েছিল।

মাঠের পারফরম্যান্স নিয়ে আগেই চাপে থাকা ইংল্যান্ডের ওপর এই খবরে মিডিয়ার নজর আরও তীব্র হয়। বক্সিং ডে টেস্টে এমসিজিতে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করবেন স্মিথ।

প্যাট কামিন্সের অনুপস্থিতিতে ফের তাঁর কাঁধে উঠেছে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের দায়িত্ব। স্মিথ খোলসা করেন, কী কারণে ইংল্যান্ড ম্যাচের মাঝে ক্রিকেট থেকে কিছুটা দূরে সরে যেতে চেয়েছিল, তা তিনি বুঝতে পারছেন।

এটা ঘটনা, ২০১৮ সালের বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারির পর নিজে যে তীব্র জনসমালোচনার মুখে পড়েছিলেন, সেই অভিজ্ঞতার কথাও তুলে ধরেন তিনি।

এমসিজি টেস্টের আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্মিথ বলেন, ‘কেউ যখন হারতে থাকে, তখন সব সময় তার ওপরেই লাইমলাইট থাকে। খুব ছোট বিষয়কেও বড় করে দেখানো হয়। ওদের জন্য খারাপ লাগছে আমার। এটা খুব কঠিন সময়। ওরা এমন একটা দেশে রয়েছেন, যে দেশটা ঘোরাঘুরি করেও কিছুটা উপভোগ করা যায়। তার ওপর যখন মাঝে বড় বিরতি থাকে, তখন সেই দেশটাকে একটু উপভোগ করাও স্বাভাবিক। আর ওদের ক্ষেত্রে বিরতিটা বেশ লম্বা ছিল।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘কিছু মন্তব্য আমি শুনেছি। কিন্তু কখনও কখনও ক্রিকেট থেকে দূরে সরে এসে মাথা থেকে সবটা ঝেড়ে ফেলতে হয়। একটু বিশ্রাম নেওয়াও জরুরি। মনে হয় ইংল্যান্ড সেই পথটাই বেছে নিতে চেয়েছিল, আর সেটা যুক্তিসঙ্গত।’

তবে স্মিথ স্পষ্ট করেন, তিনি ইংল্যান্ড দলের মানসিক অবস্থা বা তাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে এর বেশি মন্তব্য করতে চান না। তবে তাঁর মতে, ‘দুটো টেস্ট হারার পর যদি দীর্ঘ বিরতি থাকে, তখন কখনও কখনও ক্রিকেট থেকে পুরোপুরি দূরে সরে গিয়ে নিজেকে রিফ্রেশ করে নেওয়া ভাল উপায় হতে পারে।’

এই বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রাক্তন ইংলিশ ক্রিকেটার মাইকেল ভনও।  তিনি জানিয়েছেন, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশগুলোর ক্রিকেট সংস্কৃতিতেই এই প্রবণতা রয়েছে।

তিনি লেখেন, ‘আমাদের কাছে যে প্রমাণ আছে, তার ভিত্তিতে ডাকেট বা অন্য কোনও ক্রিকেটারকে শাস্তি দেওয়া উচিত নয়। কারণ এটা অনেক বড় সমস্যা, ক্রিকেট নিজেই এই মদ্যপানের সংস্কৃতি তৈরি করেছে। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা সবার ক্ষেত্রেই একই চিত্র।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘তরুণদের একটি দলকে যদি তিন-চার দিনের ছুটি দেওয়া হয়, তারা এমন কিছু করবেই।’ তবে ক্রিকেটারদের বদলে ইংল্যান্ড দলের অ্যাশেজ প্রস্তুতি নিয়েই কড়া সমালোচনা করেছেন ভন।