আজকাল ওয়েবডেস্ক: বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বার অফ কমার্সের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেড ফেয়ারে অনুষ্ঠিত হল বিশেষ স্পোর্টস কনক্লেভ। এই কনক্লেভের মূল লক্ষ্য ছিল খেলোয়াড়, সাধারণ মানুষকে কীভাবে সুস্থ রাখা যায়, কীভাবে ফিট রাখা যায়। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নেতাজি সুভাষ ইউনিভার্সিটি অফ স্পোর্টস অ্যান্ড এন্টারপ্রনোরশিপের অ্যাকাডেমিক অ্যাফেয়ার্সের ডিরেক্টর অধ্যাপক শ্রীলেখা সাহা এবং রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ডিরেক্টর অধ্যাপক সৌমেন্দ্র সাহা। উপস্থিত ছিলেন বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জহর দাসও। সম্প্রতি, হুগলি জেলার চুঁচুড়া এলাকায় তৈরি হয়েছে নেতাজি সুভাষ ইনডোর স্টেডিয়াম। সেখানে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় হ্যান্ডবল চ্যাম্পিয়নশিপ। টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলা।
অধ্যাপক সৌমেন্দ্র সাহা জানান, স্পোর্টস সায়েন্স শুধুমাত্র একটা বিভাগ নয়। এর ভিতর রয়েছে ফিজিওলজি, ফিজিওথেরাপি, স্পোর্টস মেডিসিন, স্পোর্টস সায়েন্স, স্পোর্টস ল, স্পোর্টস ম্যানেজমেন্টের মতো একাধিক বিভাগ। এর মূল লক্ষ্যই হল কোনও একজন খেলোয়াড়ের দুর্বলতা খুঁজে, সেটাকে মূল্যায়ন করে সমাধান করা। তার জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম, বিভিন্ন ধরনের যন্ত্র যা চোট আঘাত সারাতেও দ্রুত সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা জানান, স্পোর্টস সায়েন্স যে শুধু খেলোয়াড়দের জন্যই সেটা কিন্তু নয়। যারা কর্পোরেটে সারাদিন বসে থেকে কাজ করেন তাঁদের শরীরেও একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। তারও সমাধান রয়েছে স্পোর্টস সায়েন্সে।
এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক শ্রীলেখা সাহা বলেন, 'সবথেকে উপকারী হচ্ছে হাঁটা। সারাদিনে নিয়ম করে যদি প্রতিদিন ১৫ মিনিট করে হাঁটা যায় তাহলে হ্যামস্ট্রিং, কাফ মাসোল, ট্রেইসেবস ইত্যাদির অনুশীলন হয়।' অধ্যাপক সৌমেন্দ্র সাহার কথায়, 'স্পোর্টস সায়েন্সের ভিতর রয়েছে স্পোর্টস অ্যান্ড এক্সারসাইজ ফিজিওলজি। সেখানে রেস্টিং হার্ট রেট, অ্যাক্টিভেশন হার্ট রেট, কত কম অক্সিজেন ব্যবহার করে পুরোদমে খেলোয়াড়রা খেলতে পারছেন সেগুলো দেখা হয়। দেখা হয় মাসল মুভমেন্টও। এই তালিকায় রয়েছে সাইকোবায়োলজি, স্পোর্ট অ্যান্ড এক্সারসাইজ সাইকোলজি।'
তবে শুধুই যে ব্যায়াম বা চিকিৎসা রয়েছে স্পোর্টস সায়েন্সে সেরকম নয়। বিশেষজ্ঞরা খেলোয়াড়দের ফিটনেসের জন্য বিভিন্ন যন্ত্রের উল্লেখও করলেন। জানালেন আই ট্র্যাকারের কথা। জানা গেল, কোনও খেলোয়াড় মাঠের ভিতর খেলার সময় তাঁর চোখের মাপ কীরকম, ভিশন কীরকম সেটাই মাপা হয়ে থাকে আই ট্র্যাকারের সাহায্যে। খেলোয়াড়দের মোশন ক্যাপচারে ব্যবহার করা হয় সিক্স ডাইমেনশন ক্যামেরা। খেলোয়াড়দের মূল্যায়ন করতে, তাঁদের ফিটনেস খতিয়ে দেখতে রয়েছে বিভিন্ন পোশাকও। তালিকায় রয়েছে জিপিএস ভেস্ট, পোলার হার্টেড মনিটর। তবে সবথেকে জরুরি হিসেবে দুই অধ্যাপকই জানালেন চোট পাওয়ার পর রিহ্যাব প্রক্রিয়ার কথা। এই সময়ে সঠিক চিকিৎসার জন্য স্পোর্টস সায়েন্স অত্যন্ত জরুরি ভূমিকা পালন করে থাকে।
