মিল্টন সেন: হুগলী চুঁচুড়া পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের কাপাসডাঙ্গার বাসিন্দা রূপকথা ঘোষ প্রথমে জিমন্যাস্টিক দিয়ে শুরু করলেও পরে ভলিবলে মনোনিবেশ করে। শুরুতে ব্যান্ডেলের স্থানীয় ভলিবল মাঠ থেকে খেলা শুরু করলেও মায়ের হাত ধরেই ভদ্রেশ্বরে ভলিবল অ্যাকাডেমিতে ভর্তি হয়। পড়াশোনা, ভলিবলের পাশাপাশি, আঁকতে ভালবাসে রূপকথা। এখন বাংলার ভলিবলের পরিচিত খেলোয়াড় সে। তাঁর বাবা একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। বাবা ভাস্কর ঘোষ এবং মা রঞ্জিতা ঘোষের কঠোর পরিশ্রমের জন্য ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়েছে। 

রূপকথার মা রঞ্জিতা জানান, খুবই কষ্ট করে এই জায়গায় এসেছে রূপকথা। কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল। রঞ্জিতা বলেন, 'রূপকথা কষ্ট করে এই জায়গায় পৌঁছেছে। তারমধ্যেও আমার মেয়ে দেশের হয়ে খেলবে এটাই আমাদের কাছে বড় ব্যাপার। ওর বয়স খুবই কম। আগামী দিনে যাতে সিনিয়র দলে খেলতে পারে এটাই আমাদের আশা। মেয়ের কোচ পার্থ ও পানু স্যার আমার মেয়েকে খুব সাহায্য করেছে। আমি চাই ও যেন ভারতের মুখ উজ্জ্বল করে বাড়ি ফেরে। আমাদের পারিবারিক অবস্থা ভাল নয়, তার মধ্যেও খেলাধুলা চালিয়ে যাচ্ছে। রাঁচির ক্যাম্পে ভাল প্র্যাকটিস করেছে। তাই জয়ের বিষয়ে একশো শতাংশ আশাবাদী আমরা।'

হুগলি জেলায় প্রচুর প্রতিভাবান খেলোয়াড় আছে। দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে বিশ্বমঞ্চে নিজেকে মেলে ধরার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছ। তাঁদেরই একজন রূপকথা। চীনে খেলতে যাওয়ার পথে ভিডিও কলে রূপকথা জানান, প্রস্তুতি ভালই হয়েছে।বলেন, 'প্রথমবার আমরা চীনে খেলতে যাচ্ছি। আমাদের কাছে একটা আলাদা অনুভূতি। যে প্র্যাকটিস আমরা করেছি, আশা করছি ভারত একটা জায়গায় যাবে।' রূপকথার কাহিনির অপেক্ষায় চীন।