আজকাল ওয়েবডেস্ক: দ্রুততম সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড ট্র্যাভিস হেডের। ইংল্যান্ডকে হারাতে অস্ট্রেলিয়ার লাগল মাত্র দু'দিন। অসম্ভবকে এভাবেই সম্ভব করতে পারেন হেড।  ২০২৩ বিশ্বকাপে ভারতের স্বপ্ন ভেঙেছিলেন তিনি। সেই হেড এদিন তাণ্ডবলীলা চালালেন। সেই ঝড়ে উড়ে গেল ইংল্যান্ড। 

হেড-ঝড় দেখার পরে আর স্থির থাকতে পারেননি
দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার রবি শাস্ত্রী। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালের প্রসঙ্গ উত্থাপ্পন করেন প্রাক্তন ক্রিকেটার। শাস্ত্রী লেখেন, ''ট্র্যাভিস হেড...দু'বছর আগে আমার দেশকে নৈশব্দে ডুবিয়ে দিয়েছিলে তুমি। আজ আবারও তুমি একই বিধ্বংসী কাজ করলে খেলাটার সেরা ফরম্যাটে। অন্যতম সেরা ইনিংস খেললে। তোমায় কুর্নিশ জানাই। ইংল্যান্ড এটাই স্পেশাল।'' 

ইংরেজদের ২০৪ রান তাড়া করতে নেমে হেড ধরা দেন বিধ্বংসী মেজাজে। গতিশীল পিচে শুরুতে নেমে একটু সময় লাগলেও হেড চলতে শুরু করলেন কিছুক্ষণ পরেই। পিচ, গতিশীল ডেলিভারির সঙ্গে সন্ধি করতে তাঁর লাগল সামান্য কিছু সময়। তার পরে চলল ধ্বংসলীলা। 

৮৩ বলে ১২৩ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস দেখল ক্রিকেটবিশ্ব। ৬৯ বলে সেঞ্চুরি করেন তিনি। টেস্টে চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়া করার ক্ষেত্রে দ্রুততম সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড হয়ে রইল হেডের এই সেঞ্চুরি। হেডের জন্যই অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ জিতে নিল মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে। এই অস্ট্রেলিয়া সব কিছু করতে পারে। 

অ্যাশেজের ইতিহাসে দু' দিনের মধ্যে কেউ টেস্ট হারল, এ ঘটনা বিরল। ১০৪ বছর পরে ঘটল। ১৯২১ সালের মে মাসে নটিংহ্যামে অস্ট্রেলিয়া দু' দিনে ম্যাচ জিতেছিল ১০ উইকেটে। 

শুরুর দিকে হেডকে দেখে বোঝা যায়নি, তিনি একার হাতে শেষ করতে চলেছেন ইংল্যান্ডকে। তৈরি করতে চলেছেন নতুন এক ইতিহাস।

প্রথম ১৪ বলে হেড করেন তিন রান। ১৫ নম্বর ডেলিভারিতে মারেন বাইন্ডারি। ওই বাউন্ডারি পাওয়ার পর থেকেই হেড চলতে শুরু করেন নিজের চেনা ছন্দে। তাঁকে তখন থামায় কার সাধ্যি! ইংল্যান্ডের বোলাররা শর্ট বল করে গেলেন।  আর মনের সুখে হেড সেগুলো মাঠের বাইরে পাঠালেন। 

পঞ্চাশ করতে হেডের লাগে মাত্র ৩৬ বল। ৬৯ বলে সেঞ্চুরি করেন। ১৯০২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের গিলবার্ট জেসফ ৭৬ বলে সেঞ্চুরি হঁকিয়েছিলেন। ১২৩ বছর ধরে সেই রেকর্ড অক্ষত ছিল। কিন্তু রেকর্ড গড়া হয় যে ভাঙার জন্যই।