আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ মহম্মদ সামির চোট নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই গেছে। ২০২৩ বিশ্বকাপ ফাইনালের পর চোটের জন্য এক বছর মাঠের বাইরে ছিলেন। গত বছর নভেম্বরে বাংলার হয়ে রনজি খেললেও বর্ডার গাভাসকার ট্রফির জন্য তাঁর নাম বিবেচিত হয়নি। কারণ সৈয়দ মুস্তাক আলি টি২০ টুর্নামেন্টে একটা চোট পেয়েছিলেন সামি। এরপর এনসিএতে চলে যান রিহ্যাবে। 


গোড়ালির চোট ভুগিয়েছে সামিকে। অস্ত্রোপচার হয়েছিল। সুস্থ হয়ে মাঠে ফেরেন। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে গিয়ে হাঁটুতে একটা চোট পান। একটা সময়ে জানা গিয়েছিল মেলবোর্ন টেস্টে খেলতে পারেন সামি। কিন্তু পরে বোর্ডের মেডিক্যাল টিম জানিয়ে দেয়, হাঁটুর সমস্যার জন্য বর্ডার গাভাসকার ট্রফিতে নেই সামি। আর এখন এটাও নিশ্চিত নয় যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সামি খেলতে পারবেন কিনা। এমনিতেই বুমরাও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছেন চোটের জন্য।


রবি শাস্ত্রী ও রিকি পন্টিং বেশ অবাক এই ধোঁয়াশা তৈরি হওয়ায়। শাস্ত্রীর মতে, সামিকে অস্ট্রেলিয়া নিয়ে যাওয়া উচিত ছিল। তারপর খেলানোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারত। শাস্ত্রী বলেছেন, ‘‌সত্যি বলতে সামিকে নিয়ে মিডিয়ায় যা চলছে তাতে বেশ অবাক। কবে সামি সুস্থ হবে?‌’‌ এরপরই শাস্ত্রী যোগ করেছেন, ‘‌কত দিন ধরে সামি এনসিএতে থাকবে জানি না। কোনও সঠিক বার্তা আসছে না। আমি হলে সামির মতো ক্রিকেটারকে নিশ্চয়ই অস্ট্রেলিয়া নিয়ে যেতাম। প্রয়োজনে সামিকে দলের সঙ্গে রেখে রিহ্যাব প্রসেস চালানো যেত। প্রথমে জানা গেল সামির খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। তারপর জানা গেল সম্ভাবনা নেই। আমি হলে সামিকে খেলানোর চেষ্টা করতাম।’‌ এরপরই শাস্ত্রী যোগ করেছেন, ‘‌দলে সামিকে নিয়ে পর্যবেক্ষণে রাখা যেত। দলের সঙ্গে সেরা ফিজিওরা ছিল।’‌ শাস্ত্রীর সঙ্গে একমত পন্টিংও। তিনি বলেছেন, ‘‌আমি তো অবাক সামিকে কেন অস্ট্রেলিয়া নিয়ে যাওয়া হল না। অন্তত সিরিজের মাঝপথেও নিয়ে যাওয়া যেত। দলে যদিও নীতীশ রেড্ডি ছিল। তবুও সামিকে নিয়ে যাওয়া উচিত ছিল।’‌ পন্টিং আরও বলেছেন, ‘‌সামি পুরো সুস্থ না হলেও দলের সঙ্গে রাখা যেত। এক জন ব্যাক আপ পেসার থাকত।’‌ শুধু তাই নয়, পন্টিং আরও বলেছেন, ‘‌সামি, বুমরা ও সিরিজ যদি খেলতে পারত একসঙ্গে তাহলে হয়ত ফলাফলটাই অন্যরকম হতো।’‌ কারণ সামি থাকলে নিশ্চিতভাবে বুমরার ওয়ার্কলোড কমত। আরও তরতাজা থাকতে পারতেন বুমরা।