আজকাল ওয়েবডেস্ক: বহু প্রতীক্ষিত বর্ডার গাভাসকার ট্রফি শুরু হতে চলেছে পার্থের অপটাস স্টেডিয়ামে। পার্থের পিচ বরাবরই গতি এবং বাউন্সের জন্য বিখ্যাত। ওয়াকার মতই ঐতিহ্য বজায় রেখে তৈরি করা হয়েছে অপটাসের পিচ। অপটাস স্টেডিয়ামের প্রধান পিচ কিউরেটর আইজ্যাক ম্যাকডোনাল্ড জানিয়েছেন, পিচ প্রস্তুত করা হয়েছে পার্থের ঐতিহ্য বজায় রেখেই। ফাস্ট বোলিংয়ের জন্য আদর্শ পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। দেশে স্পিন-সহায়ক পিচে খেলার পর ভারতীয় দল অস্ট্রেলিয়ায় এসেছে প্রস্তুতি ম্যাচ না খেলেই। একটি অনুশীলন ম্যাচের পরিকল্পনা করা হলেও তা বাতিল করে ভারতীয় দল ওয়াকা গ্রাউন্ডের মাঝেই উইকেটে অনুশীলন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ফলে ২২ নভেম্বর প্রথম টেস্ট শুরু হওয়ার আগে পার্থের কঠিন পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেওয়ার জন্য বেশি সময় পাচ্ছেন না কোহলিরা। অপটাস স্টেডিয়ামে পিচ প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়েছিল সেপ্টেম্বর থেকেই। ৬০,০০০ আসন বিশিষ্ট পার্থের এই নয়া স্টেডিয়ামে এখনও পর্যন্ত মাত্র চারটি টেস্ট খেলা হয়েছে। কাজ শেষের পর অক্টোবরে পিচটি মাঠে তুলে নিয়ে আসা হয়। দ্রুত এবং বাউন্সি পিচে দুই দলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলেই মনে করছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। পার্থের পিচ কিউরেটর জানিয়েছেন, ‘আমরা এমন পিচ প্রস্তুত করেছি, যেখানে ভাল গতির পাশাপাশি বাউন্স এবং ক্যারি থাকবে। পেস বোলাররা বাড়তি সহায়তা পাবেন’।
একটা বিষয় কার্যত পরিষ্কার পার্থে ব্যাটারদের কাজটা কঠিন হতে চলেছে। পার্থের পিচ কিউরেটর ম্যাকডোনাল্ড গত বছরের অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তানের টেস্টের কথা উল্লেখ করেন। সেই ম্যাচে পিচের অবস্থা কার্যত খারাপ হয়ে গিয়েছিল। পিচের ফাটল থেকে অপ্রত্যাশিত বাউন্স দেখা গিয়েছিল। এই টেস্টেও পিচ একই রকম থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। উভয় দলের পেস আক্রমণ বাউন্স কাজে লাগাতে চেষ্টা করবে। ভারত নিজেদের পেস আক্রমণ নিয়ে এই পার্থ পিচের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। তবে প্রস্তুতি ম্যাচ ছাড়া পার্থের দ্রুত গতির উইকেটে কতটা মানিয়ে নিতে পারবেন এখন নজর সেদিকেই।
