আজকাল ওয়েবডেস্ক: এগিয়ে আসছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত-পাক ক্রিকেট দ্বৈরথ। তার আগে নীরজ চোপড়া অন্য এক ভারত-পাক লড়াইয়ের কথা তুলে ধরলেন। 

জ্যাভলিন থ্রো ভারত-পাক লড়াইকে অন্য এক মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছে বলে মনে করেন স্বয়ং নীরজ চোপড়াই। প্যারিস অলিম্পিকে আরশাদ নাদিম সোনা জেতেন। নীরজ চোপড়া রুপো পান। ভারতের তারকা জ্যাভলিন থ্রোয়ার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন পাকিস্তানের ছেলের। প্যারিসে আরশাদের থ্রো সবাইকে অবাক করে দেয়। এমনকী নীরজ চোপড়াও বিস্মিত হন। এক সাক্ষাৎকারে নীরজ চোপড়া বলেন, ''আরশাদ নাদিম সব সময়েই ভাল থ্রো করে। কিন্তু এত দূরে যে ছুড়তে পারবে, তা অপ্রত্যাশিতই ছিল। একেকটা দিন জ্যাভলিন থ্রোয়ারের হয়। সেদিন ছিল আরশাদের। ওর টেকনিক, ওর থ্রো নজরকাড়া ছিল। দারুণ প্রস্তুতি নিয়েছিল আরশাদ। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রস্তুতি নিয়ে নেমেছিল। মরশুমের শুরুতে একজন থ্রোয়ার ভাল পারফর্ম করে। আরশাদের মরশুম শুরু হয়েছিল প্যারিস অলিম্পিকের এক মাস আগে থেকে। সেটা ছিল ডায়মন্ড লিগ। আমার মতে, ভারত-পাকিস্তানের দ্বৈরথ খেলাটাকেই অন্য মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছে। যখন এই ব্যাপারটা এসে যায়, তখন খেলাটাই অন্।য এক উচ্চতায় পৌঁছে যায়। যদি খেলাটা টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়, তাহলে তার দর্শকসংখ্যা বিপুল হয়। খেলাধুলোর জন্য এটা দারুণ ব্যাপার এবং এশিয়ার উপমহাদেশের জন্যও দুর্দান্ত ব্যাপার।''

আগে জ্যাভলিনে ইউরোপের সংশ্লিষ্ট দেশের প্রাধান্য ছিল। কিন্তু এখন এশীয় দেশেরই আধিপত্য। প্যারিস অলিম্পিকেই প্রথম বার কোনও ইউরোপিয়ান মেডেল জেতেননি। মহিলাদের বিভাগে  হারুকা কিটাগুচি আগে সোনা জিতেছিলেন। আগে জ্যাভলিনে ইউরোপের দেশগুলোই প্রাধান্য দেখাত। এখন তা সারা বিশ্বের খেলায় পর্যবসিত হয়েছে বলে মনে করেন নীরজ। খেলাধুলোর জন্য এটা দারুণ ব্যাপার।