আজকাল ওয়েবডেস্ক: তিনি বিগ হিটার। আবার বোলারও বটে। কলকাতা নাইট রাইডার্সের অনেক সুখ-দুঃখের সাক্ষী। সেই আন্দ্রে রাসেলকে ছেড়েই দিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। এমনটা যে হতে চলেছে, তার আঁচ পাওয়া যাচ্ছিল আগে থেকেই। ২০২৬ সালের আইপিএলের আগে মিনি নিলাম হবে। তার আগে রিটেনশন লিস্ট তৈরি করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। কেকেআর ছেড়ে দেওয়াদের যে তালিকা তৈরি করেছে তাতে রয়েছে রাসেলের নাম।
কলকাতা শিবির থেকে রাসেলের বিদায় ভাল ভাবে নেননি দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার মহম্মদ কাইফ। ক্যারিবিয়ান তারকার চলে যাওয়ার পিছনে কে, সেই তথ্য ফাঁস করেছেন মহম্মদ কাইফ।
ইউটিউবে তিনি বলেছেন, ''রাসেলকে ছেড়ে দেওয়া সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। ওকে ১২ কোটি টাকায় দলে পেয়েছিলে। রাসেলের মতো খেলোয়াড়ের জন্য এটা খুব একটা বড় অঙ্ক নয়। এরকম ধরনের খেলোয়াড় সচরাচর আসে না। হ্যাঁ, এটা ঠিক যে ফর্মে ছিল না রাসেল। পরে অবশ্য রান পায়। কোচ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিবর্তন আনা হয়। আমার মনে হয় রাসেলকে ছেড়ে দেওয়া বড় সিদ্ধান্ত।''
কাইফের সংযোজন, ''এটা বলা যেতেই পারে যে রাসেল সেরা সময়ে ছিল না কিন্তু আমার মনে হয় এটা এমন একটা ফরম্যাট, বিশেষ করে আইপিএলে, যেখানে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা ভাল করে, এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে। আমার মনে হয় অভিষেক নায়ারই ওকে ছেড়ে দিয়েছে। অভিষেক নিজের দল তৈরি করতে চায়। কিন্তু রাসেলকে ছেড়ে দেওয়া আশ্চর্যজনক সিদ্ধান্ত।''
একসময়ে রাসেলই ছিলেন নাইটদের বিগ ম্যাচ উইনার। বহু কঠিন ম্যাচ তিনি জিতিয়েছেন চার-ছক্কা হাঁকিয়ে। কিন্তু গতবারের টুর্নামেন্টে রাসেল ধরা দেননি নিজের ছন্দে। নাইটদের হয়ে ১৩টি ম্যাচে ১৬৭ রান করেন। সর্বোচ্চ রান অপরাজিত ৫৭। এহেন ক্যারিবিয়ান দৈত্যর কাছে ২০১৯ সাল দুর্দান্ত গিয়েছিল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫১০ রান করেন ক্যারিবিয়ান তারকাই। ব্যাট ঘোরানোর সঙ্গে সঙ্গে ১১টি উইকেট নিয়েছিলেন। সেই তারকা ক্রিকেটারকে বেরঙিন দেখায় গতবার। ব্যর্থতা সত্ত্বেও তাঁকে কেন খেলানো হচ্ছে, সেই প্রশ্নও ওঠে। অনেকেই বলেন, রভম্যান পাওয়েলের মতো ক্রিকেটার থাকলেও কেন ব্যর্থ পাওয়েলকে খেলানো হচ্ছে। তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন ডোয়েন ব্রাভো। গতবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ তারকাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, রাসেল যখন ব্যাট করতে নামছে, তখন ওভার পিছু ১৫-২০ রানের দরকার। সব সময়ে সেটা সম্ভব হয় না।
গতবারের রাসেলের ফর্ম দেখেই বোঝা গিয়েছিল তাঁকে আর বয়ে বেড়াবে না নাইটরা। রাসেল আগের ধার হারিয়েছেন। সেই কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিল কেকেআর।
