আজকাল ওয়েবডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চতুর্থ টি-২০ তে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৭ রানে শেষ করল টিম ইন্ডিয়া। শুরুটা ভাল করেও টপ অর্ডারের ব্যাটাররা বড় রান তুলতে পারেনি। যার ফলে ২০০ রানের গণ্ডি পেরোতে পারেনি ভারত। আবার টসে হার সূর্যকুমার যাদবের। ভারতকে ব্যাট করতে পাঠায় মিচেল মার্শ। পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ ১-১ অবস্থায় ছিল। প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে হারে টিম ইন্ডিয়া। তৃতীয় ম্যাচে সিরিজে সমতা ফেরায়। এদিন এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল ভারতের। গোল্ডকোস্টে শুরুটা ভালই হয় স্কাইদের। তবে স্বভাবচরিত ভঙ্গিমায় পাওয়া যায়নি অভিষেক শর্মাকে। এদিন কিছুটা মন্থর খেলেন। প্রথম উইকেটে ৫৬ রান যোগ করে অভিষেক শর্মা, শুভমন গিল জুটি। ৫৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভারত। 

এশিয়া কাপে প্রায় এক বছর পর টি-২০ ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন করেন গিল। কিন্তু ছন্দে ফেরেননি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একদিনের ম্যাচের পর প্রথম তিন টি-২০ তেও রান পাননি। তাই চাপের মধ্যে ছিলেন টেস্ট এবং একদিনের ক্রিকেটের অধিনায়ক। তবে এদিন শুরুটা ভাল করেন। কিন্তু অল্পের জন্য অর্ধশতরান হাতছাড়া হয়। ৩৯ বলে ৪৬ রান করে আউট হন। ইনিংসে ছিল ১টি ছয়, ৪টি চার। সর্বোচ্চ রান তাঁরই। ২১ বলে ২৮ রানে আউট হন অভিষেক। বাকিরা রান পায়নি। ওয়ান ডাউনে নামানো হয় শিবম দুবেকে। কিন্তু মাত্র ২২ রান করেন। আবার ব্যর্থ সূর্যকুমার যাদব। মাত্র ২০ রান করেন। রান পাননি তিলক বর্মা (৫), জীতেশ শর্মা (৩), ওয়াশিংটন সুন্দর (১২)। শেষদিকে অক্ষর প্যাটেলের ব্যাটে দেড়শোর গণ্ডি পেরোয় টিম ইন্ডিয়া। ১টি চার এবং ছয় সহ ১১ বলে ২১ রান করেন। 

ভারতের শুরুটা দেখে মনে হয়েছিল, অনায়াসেই দুশো রানের গণ্ডি পেরিয়ে যাবে ভারত। কিন্তু মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় কাছাকাছি পৌঁছতে পারেনি। বারবার ব্যাটিং অর্ডার বদলানো নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। এর আগে তিন নম্বরে নেমে সফল হন তিলক। কিন্তু এদিন তাঁকে পাঁচ নম্বরে নামানো হয়। ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার খেসারত দিতে হয় টিম ইন্ডিয়াকে। তিনটে করে উইকেট নেন নাথান এলিস এবং অ্যাডাম জাম্পা। রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল করে অস্ট্রেলিয়া। পাওয়ার প্লের শেষে ১ উইকেট হারিয়ে অজিদের রান ৪৮। ক্রিজে আছেন মিচেল মার্শ (৩০) এবং জস ইংলিশ (১০)।