আজকাল ওয়েবডেস্ক: কঠিন পরিশ্রম, লড়াইয়ের মানসিকতা এবং ইচ্ছাশক্তি থাকলে মার্তণ্ড রায়না হওয়া যায়। রাজস্থান ইউনাইটেডের দীঘল চেহারার মার্তণ্ড রায়না যে নতুন মরশুমে লাল-হলুদ জার্সি পরতে চলেছেন তা আগেই জানিয়েছিল আজকাল ডট ইন।
বুধবার সরকারি ভাবে ইস্টবেঙ্গল জানিয়ে দিল মার্তণ্ড রায়নার সঙ্গে লেসলি ক্লডিয়াস সরণীর ক্লাব তিন বছরের চুক্তি করেছে।
কলকাতা নতুন নয় মার্তণ্ডের কাছে। গত বছরই তিনি কলকাতার ঝড়-জল-গরম কাটিয়ে গিয়েছেন। খেলে গিয়েছেন এখানকার জলকাদার মাঠে।
রাজস্থান ইউনাইটেডের কর্ণধার কমল সারোহা আজকাল ডট ইন-কে বললেন, ''মার্তণ্ডের ক্ষমতা এবং দক্ষতা সম্পর্কে আমি খুব ভাল জানি। আমার সঙ্গে ও খেলত। আপনাদের কলকাতায় তো ও খেলে গিয়েছে গতবার। আমি ওকে পাঠিয়েছিলাম প্রথম ডিভিশনের ক্লাব অ্যাডামাস ইউনাইটেডে।''
দিনকয়েক আগে লিগের খেলায় ইস্টবেঙ্গলকে থামিয়ে দিয়ে সুরুচির কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্য চোখা মন্তব্য করেছিলেন। সেই রঞ্জনেরই ছাত্র মার্তণ্ড। লাল-হলুদ সম্পর্কে সাহসী মন্তব্য করলেও রঞ্জন কিন্তু তাঁর প্রাক্তন ছাত্রকে নিয়ে দারুণ আশাবাদী। ময়দানের পোড়খাওয়া কোচ বলছিলেন, ''কী দারুণ উন্নতি করল ছেলেটা ভেবে দেখুন। অ্যাডামাসে ছিল গতবছর। তার পরে আই লিগে খেলল রাজস্থান ইউনাইটেডের হয়ে। এবার ইস্টবেঙ্গলের মতো ক্লাবের হয়ে আইএসএলে খেলবে। আমার শুভেচ্ছা সবসময়ে ওর সঙ্গে থাকবে।''
অ্যাডামাসের জার্সিতে ৯টির কাছাকাছি ম্যাচ খেলেছেন মার্তণ্ড। সেই সময়ে দরকার ছিল একজন লম্বা চেহারার সেন্টার ব্যাকের। মার্তণ্ডকে আনা হয় অ্যাডামাসে। রঞ্জন বলছেন, ''ও খুব ভদ্র ছেলে। পরিশ্রমী। লম্বা হওয়ায় হেডে বেশ দক্ষ।''
ইস্টবেঙ্গলের তরফ থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পাঠানো হয়েছে মার্তণ্ডের মন্তব্য। তিনি বলেছেন, ''ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের গর্বিত করবো।'' ধোনির ছিলেন সুরেশ রায়না। অস্কার ব্রুজোঁর সাজঘরে এলেন মার্তণ্ড রায়না।
