আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিরাট কোহলি এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর প্রসঙ্গ উঠলে, একটা নামই প্রথমে মাথায় আসে। তিনি এবি ডি'ভিলিয়ার্স। গত কয়েক বছরে দু'জনের মধ্যে দারুণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। কিন্তু গত সপ্তাহে বড় চমক দেন কোহলি। আন্তর্জাতিক কেরিয়ার এবং আইপিএলের শুরুতে তাঁকে গাইড করার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার মার্ক বাউচারকে কৃতজ্ঞতা জানান। একটি পডকাস্টে বিরাট বলেন, 'প্রথমদিকে আমি যাদের সঙ্গে খেলেছি, মার্ক বাউচারের প্রভাব আমার ওপর সবচেয়ে বেশি পড়েছে।' একসঙ্গে তিন বছর আরসিবিতে কাটান দু'জন। ২০০৮ সালেই কোহলিকে চিনে ফেলেছিলেন প্রোটিয়া তারকা। বলেছিলেন, শীঘ্রই তাঁর জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া উচিত। ২০ বছরের তরুণকে নেট সেশনে সাহায্য করেন বাউচার। যাতে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়ায় বাউন্সি উইকেটের জন্য তৈরি হয়ে যেতে পারেন। 

কোহলির অবসরের পর সেই দিনটি ভেসে ওঠে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন উইকেটকিপার ব্যাটারের চোখের সামনে। বাউচার বলেন, 'সেই সময় ওর উন্নতিতে সাহায্য করতে চেয়েছিলাম। ওর খেলায় সবকিছু ছিল। ওর সঙ্গে আমার শর্ট বল খেলা নিয়ে কথা হয়েছিল। কীভাবে শর্ট বল খেলতে হয় দেখিয়েছিলাম। তরুণদের কাছে শর্ট বল সমসময় পরীক্ষার। আমি ওকে বলি তুমি ফ্রন্ট ফুটে খুব ভাল। বল সোজাসুজি থাকলে ব্যাকফুটে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় আন্তর্জাতিক মঞ্চে। আমি ওকে বলেছিলাম, দক্ষিণ আফ্রিকায় গেলে সমস্ত উপমহাদেশের ক্রিকেটারকে শর্ট বলের মুখে পড়তে হয়। আমি শুধু ওকে সতর্ক করেছিলাম। ও তার উত্তরে আমাকে জিজ্ঞেস করে, আমি ওকে সাহায্য করতে পারব কিনা? আমি বলি, অবশ্যই। আমি টেনিস বলে কয়েকটা বল করি। কয়েকটা টেকনিক দেখিয়ে দিই।' 

শচীনের সঙ্গে তুলনা হয় কোহলির। কিন্তু সেটা নাপসন্দ বাউচারের। তিনি মনে করেন, একটাই শচীন তেন্ডুলকর এবং একটাই বিরাট কোহলি আছে। তাই দু'জনকে মিলিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। তবে একসময় নিজেই কোহলির তুলনা মাস্টার ব্লাস্টারের সঙ্গে করেছিলেন। বাউচার বলেন, 'আমি একবার ওকে বলেছিলাম, বিরাট, তুমি খুব প্রতিভাবান এবং তোমার বয়স কম। তোমার সামনে পুরো আইপিএল আছে। তুমি হয়তো ২০ বছর আইপিএল খেলবে। শচীন টেন্ডুলকারও খুব অল্প বয়সে শুরু করেছিল। কে বলতে পারে তুমি পরবর্তী শচীন হবে না? ও এতদূর যাবে আমি জানতাম না। তবে শচীন এবং কোহলির তুলনা করা উচিত নয়। আমার মতে একটাই শচীন তেন্ডুলকর আছে, এবং একটাই বিরাট কোহলি আছে। দু'জনেই কিংবদন্তি।' এখনও দু'জনের মধ্যে বন্ধুত্ব রয়েছে। মাঝেমধ্যেই কথা হয়। তবে আলোচনার বিষয়বস্তু বদলেছে। শর্ট পিচ বোলিং থেকে পরিবার, পিতৃত্বে পরিবর্তন হয়েছে।