আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রেমের সম্পর্ক ঘিরে আপত্তি। বোনকে খুনের জন্য বন্ধুকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন দাদা। সেই দাদার বন্ধুর হাতেই সর্বনাশ তরুণীর। ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় যুবককে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানাতে। রবিবার পুলিশ জানিয়েছে, ১৯ বছরের এক তরুণীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে ৩০ বছরের এক যুবকের বিরুদ্ধে। প্রেমের সম্পর্কের কারণেই বোনকে খুনের পরিকল্পনা ছিল দাদার। বোনকে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য বন্ধুকেই দায়িত্ব দিয়েছিলেন দাদা। দাদার বন্ধুই তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন করেন।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, দাদা ও বোন দু'জনেই উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন। গত ছ'বছর ধরে হরিয়ানার মানেসারে থাকতেন। কয়েক মাস আগে দাদা জানতে পারেন, বোন ভিন ধর্মের এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। এবং তাঁকেই বিয়ে করার পরিকল্পনা রয়েছে বোনের। তখন থেকেই ঝামেলা শুরু হয়।
গত ১৫ নভেম্বর উত্তরপ্রদেশে পরিবারের কাছে বোনকে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন দাদা। ২২ নভেম্বর উত্তরপ্রদেশ থেকে পালিয়ে ফের হরিয়ানাতে ফিরে প্রেমিকের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন তরুণী। তখনই বোনকে খুনের পরিকল্পনা শুরু করেন দাদা। তরুণীর সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়েছিলেন তাঁর দাদার বন্ধু। প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যেতে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। তাঁকে বিশ্বাস করে ১০ ডিসেম্বর রামপুরা চকে দেখা করেন তরুণী।
সাহায্যের বদলে সেই রাতেই নির্জন এলাকায় নিয়ে গিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ করে, শ্বাসরোধ করে খুন করেন যুবক। এরপর ঝোঁপের মধ্যে দেহ ফেলে পালিয়ে যান। এই ঘটনায় তরুণীর দাদা ও দাদার বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
গত জানুয়ারি মাসে এমন আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল। ঝোঁপের ধারে পড়েছিল পোড়া সুটকেস। খবর পেয়েই ছুটে যায় পুলিশ। সুটকেস খুলতেই তাদের চোখ ছানাবড়া। সুটকেসের মধ্যে ছিল দগ্ধ একটি দেহ। যেটি উদ্ধার করলেও, তদন্তের শুরুতে খুনের কোনও কিনারা পাচ্ছিল না তারা। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হাড়হিম হত্যাকাণ্ডের কিনারা করে দিল্লি পুলিশ।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছিল দিল্লির গাজিপুরে। রবিবার পোড়া সুটকেস ও দগ্ধ দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তারা। তখনই একটি গাড়ি দেখে তাদের সন্দেহ হয়। গাড়ির নম্বর দেখে মালিকের কাছে পৌঁছয় তারা। সেই যুবক জানান, কয়েক মাস আগেই গাড়িটি একজনের কাছে তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন।
তারপর গাড়ির বর্তমান মালিকের কাছে পৌঁছয় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আটক করে। পুলিশি জেরায় ওই যুবক জানা, দগ্ধ দেহটি তার তুতো বোনের। তাঁর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল যুবকের। লিভ ইন সম্পর্কেও ছিল তারা। তুতো বোন বিয়ের জন্য ক্রমাগত মানসিক চাপ দিতে থাকেন। এমনকী পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে, তাঁকে বিয়ের জন্য জোর করছিলেন।
এর জেরেই তুতো বোনকে খুনের পরিকল্পনা করেন যুবক। রবিবার বাড়িতে খুনের পর দেহটি সুটকেসে ভরে গাড়িতে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন তিনি। এক বন্ধুকেও সুটকেস ফেলে দেওয়ার জন্য গাড়িতে তুলে নেন। এরপর পেট্রোল কিনে দু'জনে মিলে সুটকেস এবং দেহটি জ্বালিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান। খুনের ঘটনার পর দু'জনকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত জারি রয়েছে।
