আজকাল ওয়েবডেস্ক: গুয়াহাটিতে লজ্জার হারের পরেই ভারতের হেড কোচ গৌতম গম্ভীর জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁর ভাগ্য নির্ধারণ করতেই পারে বিসিসিআই। কারণ তাঁর কাছে ভারতীয় দল সবার আগে। কোনও ব্যক্তি নয়। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই মুখ খুলল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। ভারতের কোচের ভবিষ্যৎ নিয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন বোর্ডকর্তা।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বোর্ডের এক কর্তা বলেছেন, ''এখনই গম্ভীরকে সরিয়ে দেওয়ার কথা আমরা ভাবছি না। ও একটা দল তৈরি করছে। ২০২৭–এর বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তি রয়েছে।''
বোর্ড কর্তা যতই বলুন এখনই গম্ভীরকে কোচের চেয়ার থেকে সরানো হবে না। বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি কিন্তু তীব্র সমালোচনা করলেন গম্ভীরের। তিনি বলেন, ''দেওয়াল লিখন স্পষ্টই ছিল। এটাই হওয়ার ছিল। আমি জানতাম ভাল কিছু হবে না। ওরা যে পদ্ধতি অবলম্বন করেছিল, সেটাই সঠিক স্ট্র্যাটেজি ছিল না। বাদ দেওয়া হচ্ছে, পরিবর্তন করা হচ্ছে। ফলে এই রেজাল্ট হওয়াই ছিল স্বাভাবিক। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরোয়া সিরিজের পর দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজেও একই ছবি।'' তিনি আরও বলেন, ''এখনই সরানো হোক গম্ভীরকে। ভারতীয় ক্রিকেটকে বাঁচানোর এটাই সেরা সময়।''
চারদিক থেকে ধেয়ে আসা সমালোচনার মুখে গম্ভীর মনে করিয়ে দিলেন, মিথ্যাই তাঁর জমানায় হার নিয়ে 'গেল গেল' রব উঠছে। তাঁর সময়ে সাফল্য়ও রয়েছে। সেগুলো যেন না ভোলেন কেউ।
মিডিয়ার ক্রমাগত ধেয়ে আসা প্রশ্নের মুখে গম্ভীরকে বলতে শোনা গিয়েছে, ''মানুষ ভুলে যায়, আমিই সেই লোক যে ইংল্যান্ডে তরুণ দল নিয়ে গিয়ে ভাল রেজাল্ট পেয়েছি। তোমরাও দ্রুতই ভুলে যাবে। অনেকেই নিউজিল্যান্ডের কথা বলে। আমিই সেই ব্যক্তি যার কোচিংয়ে আমরা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং এশিয়া কাপ জিতেছি। এই দলটার অভিজ্ঞতা কম। আমি আগেও বলেছি, ওদের শেখা চালিয়ে যেতে হবে। স্রোতের অভিমুখ বদলে দেওয়ার জন্য ওরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।''
মনোজ তিওয়ারি টিম ইন্ডিয়ার হেডস্যরের সমালোচনা করে বলছেন, ''ওর জমানায় এমন কিছু সাফল্য আসেনি। আমি গম্ভীরের একটা ক্লিপ দেখলাম যেখানে ও বলেছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ও এশিয়া কাপ জিতেছে। এই দলটা তৈরি করেছে রোহিত শর্মা, রাহুল দ্রাবিড়। তার আগে তৈরি করেছিল বিরাট কোহলি। গম্ভীর যদি এই দুটো টুর্নামেন্টে ভারতের কোচ নাও থাকত, তবুও ভারত জিতত। কারণ দলটা আগেই তৈরি করা হয়েছিল।''
গুয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টে পরাস্ত হওয়ার পরে একাধিক লজ্জার রেকর্ড গড়েছে ভারত। ন্যূনতম লড়াই করতে পারেননি ভারতীয়রা। স্পিনের বিরুদ্ধে ভারতের দুর্বলতা প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের মতো প্রাক্তন ক্রিকেটারের মতে, ভারত এখন সবথেকে হতশ্রী স্পিন খেলিয়ে দেশ। মনোজ তিওয়ারি আরও বলেন, ''সাদা বলের মেন্টর ভারতের হেড কোচ, এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। গ্রাউন্ড লেভেলে অভিজ্ঞতা যদি কম থাকে, তাহলে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ফলাফল দেবে কী করে? এটা একপ্রকার অসম্ভব।''
