আজকাল ওয়েবডেস্ক: ‘যদি যুবরাজ ক্যান্সারে মারা যেত এবং ভারতের হয়ে বিশ্বকাপ জিতত, তবুও আমি গর্বিত থাকতাম। আমি এখনও ওর জন্য গর্বিত। আমি ফোনে ওকে বলেছি, তুই রক্তবমি করলেও খেলবি। চিন্তা করিস না, তোর কিচ্ছু হবে না। শুধু এই বিশ্বকাপটা ভারতের জন্য জিতে আন।’ পুত্র যুবরাজ সিংকে নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে আবেগঘন মন্তব্য বাবা যোগরাজ সিংয়ের। ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ছিল যুবরাজের জীবনের অন্যতম সেরা মুহূর্ত। মারণ রোগ ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েও ভারতের ২৮ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছিলেন তিনি। বিশ্বকাপ চলাকালীন অসুস্থতার কারণে শারীরিকভাবে ভীষণ ভেঙে পড়েছিলেন যুবরাজ। তবুও মাঠে নিজের একশো শতাংশ দিয়ে গোটা বিশ্বকাপ খেলেছিলেন তিনি।

 

গ্রুপ পর্বে চেন্নাইতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে যুবরাজ অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও অসাধারণ সেঞ্চুরি করেন। তাঁর পারফরম্যান্স ভারতকে বিশ্বকাপ জিততে বড় ভূমিকা পালন করে। সেই প্রসঙ্গেই সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে যোগরাজ বলেন, “যদি যুবরাজ ক্যানসারে মারা যেত এবং ভারতের হয়ে বিশ্বকাপ জিতত, তবুও আমি গর্বিত হতাম’। বিশ্বকাপের পরই ক্যান্সারের চিকিৎসা করাতে বাইরে যান যুবি। সুস্থ হয়ে ফের ক্রিকেটে ফেরেন। ২০১৭ সালে দেশের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও খেলেছেন। ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের জয়ে বড় ভূমিকা ছিল যুবরাজের। ২০১১ সালের বিশ্বকাপে জুড়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট হয়েছিলেন তিনি।