আজকাল ওয়েবডেস্ক: উপমহাদেশের দেশগুলোর মধ্যে বহু এগিয়ে রোহিত শর্মার ভারত। বাংলাদেশও উন্নতি করছে। কিন্তু পাক-ক্রিকেটের সেনসেক্স পড়তির দিকে। ঘরের মাঠের শেষ ১০টি টেস্টে জিততে পারেনি পাকিস্তান। ৬টি হারের সঙ্গে ড্র করেছে ৪টিতে।

বাংলাদেশও পাক-মুলুকে গিয়ে হারিয়ে এসেছে বাবর আজমদের। সেই বাংলাদেশ চেন্নাইয়ে ভারতের কাছে হতশ্রী ভাবে হার মেনেছে। এই পরিস্থিতিতে বিস্ফোরণ ঘটালেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার কামরান আকমল। তাঁর মতে, পেশাদারিত্ব, খেলা সংক্রান্ত নানা বিষয় বিসিসিআইয়ের কাছ থেকে শেখা উচিত পিসিবির। 

দেশীয় ক্রিকেটাররাই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড নিয়ে অসন্তুষ্ট। বোর্ডের অপেশাদারিত্ব নিয়ে ক্ষুব্ধ। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে কামরান আকমল বলেন, ''বিসিসিআই-এর থেকে শেখা উচিত পিসিবির। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পেশাদারিত্ব, তাদের দল, নির্বাচক, অধিনায়ক ও কোচের কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। এই বিষয়গুলোই একটা দলকে একনম্বর করে তোলে এবং ক্রিকেটবিশ্বে আধিপত্য বিস্তার করে। আমরা যদি এতই ভাল হতাম, তাহলে পাকিস্তান ক্রিকেট এখানে পড়ে থাকত না। পিসিবি-র অহং বোধের জন্যই ভুগতে হচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেটকে।'' 

প্রথম টেস্টের শুরুতে বাংলাদেশের বোলাররা অস্বস্তি বাড়িয়েছিল ভারতের সাজঘরে। কিন্তু সময় যত এগোতে থাকে, ভারত ততই ম্যাচের উপরে জাঁকিয়ে বসে। রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজার পার্টনারশিপ ভারতকে প্রথম ইনিংসে ভাল জায়গায় পৌঁছে দেয়। দ্বিতীয় ইনিংসে জোড়া সেঞ্চুরি করে শুভমান গিল ও ঋষভ পন্থ।

চতুর্থ দিনের সকালে অশ্বিন ও জাদেজার ঘূর্ণিতে বাংলাদেশ ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামে। কামরান আকমল ভারতের প্রশংসা করে বলেন, ''কী দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্স অশ্বিনের। দ্বিতীয় ইনিংসে ছ'টি উইকেট নেয় অশ্বিন, প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরিও করে। জাড্ডুর সঙ্গে ম্যাচ জেতানো পার্টনারশিপ গড়েছিল অশ্বিন। এই দুই ক্রিকেটার ছাড়া ভারতের প্রথম একাদশই তৈরি হবে না।''