আজকাল ওয়েবডেস্ক: ক্রিকেটের ধারণটাই বদলে দিচ্ছেন জর্ডন কক্সের মতো ক্রিকেটাররা। 

'দ্য হান্ড্রেড' টুর্নামেন্টে জর্ডন কক্স ঝড় তুললেন। তাঁর ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ওভাল ইনভিনসিবলস রেকর্ড রান তুলল। ৪ উইকেটে ২২৬ রান তুলে ম্যাচটা জিতে নিল বিশাল ৮৩ রানের ব্যবধানে। খেলাটা ছিল ওভাল ইনভিনসিবলস ও ওয়েলশ ফায়ারের। 

ডান হাতি ব্যাটসম্যান জর্ডন কক্স ২৯ ডেলিভারিতে ৮৬ রানে অপরাজিত থেকে যান। ১০টি ছক্কা মারেন তিনি। ১১-তম ওভারে অজিত সিং ডেল-কে পিটিয়ে ২৬ রান নেন। 

আরও পড়ুন: বাগদান সারা, তবুও অল ইজ নট ওয়েল, অর্জুন তেণ্ডুলকরের ঠাঁই হল না দলে

প্রথম তিন বলেই তিনটি ছক্কা মারেন কক্স। লং অন, ডিপ মিড উইকেট ও মিড উইকেটের উপর দিয়ে ওবাল বাউন্ডারি মারেন। রিভার্স স্কুপে ছক্কা মেরে ওভার শেষ করেন কক্স। প্রথম আট বল থেকে আট রান নিয়েছিলেন কক্স। তার পরই তিনি গিয়ার পরিবর্তন করেন। ওভাল ইনভিনসিবলসের রান তাড়া করতে নেমে ওয়েলস ফায়ার ১৪৩ রানে অল আউট হয়ে যায়। 

এর আগে দ্য হান্ড্রেড টুর্নামেন্টে রশিদ খান ব্যাপক মার হজম করেন। আগে তাঁকে দেখে ব্যাটসম্যানের মেরুদণ্ড দিয়ে শীতল স্রোত বয়ে যেত। আর এখন তাঁকে বলে বলে পেটাচ্ছেন ব্যাটাররা। আইপিএলেও রশিদ খানকে মার হজম করতে হয়েছিল। ৩৩টি ছক্কা হজম করতে হয়েছিল।

 এত ছক্কা কাউকে মারেননি ব্যাটাররা। এবার ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট দ্য হান্ড্রেড-এ রশিদ খানকে এমন মারা হল যে নতুন এক রেকর্ডই গড়ে ফেললেন তিনি। তাহলে কি রশিদ খানের বল বুঝতে পেরে গিয়েছেন ব্যাটাররা? তাঁকে খেলতে সুবিধা হচ্ছে ব্যাটসম্যানদের?

বার্মিংহামে বার্মিংহ্যাম ফিনিক্সের বিপুদ্ধে ৪ ওভারে ৫৯ রান দিয়েছেন ওভাল ইনভিন্সিবলসের রশিদ। ৫ বলে ওভার। অর্থাৎ ২০ ওভারে ১০০ বল। তাই নাম দ্য হান্ড্রেড। অর্থাৎ ২০ বলে রশিদ খান দেন ৫৯ রান। আফগান বোলারের আগে চার ওভারে ৫৩ রান দিয়ে রেকর্ড বইয়ের পাতায় নাম তুলেছিলেন নামিবিয়ার ডেভিড ভিসার। রশিদ তাঁকে সরিয়ে নিজের নাম বসালেন শীর্ষস্থানে।

?ref_src=twsrc%5Etfw">August 16, 2025

দলের কোনও বোলার যদি এমন বেধরক মার খান তাহলে কীভাবে দল জেতে! আফগান তারকার ফ্র্যাঞ্চাইজি ওভাল ভিন্সিবলস ম্য়াচটা হেরে যায়। ১৮১ রান তাড়া করছিল বার্মিংহ্যাম। শেষ ২৫ বলে দরকার ছিল ৬১ রান। রশিদ খান তখন বল করতে আসেন। তাঁর ওভারে ২৬ রান নেন লিয়াম লিভিংস্টোন। ৩টি ছয় ও ২টি চারে ওঠে ২৬ রান। এরপর ম্যাচ চলে যায় বার্মিংহ্যামের সাজঘরে। ২ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নেয় বার্মিংহ্যাম। রশিদের ২০ বলে ১০টি চার মারেন ব্যাটাররা। এর সঙ্গে রয়েছে ছক্কা।
২৭ বলে অপরাজিত ৬৯ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা হন লিভিংস্টোন। কিন্তু রশিদ খানকে এরকম মারলেন কীভাবে? লিভিংস্টোনের সাফ জবাব, ''আমি অতীতেও রশিদ খানের বিরুদ্ধে খেলেছি। তাই ওর বিরুদ্ধে ব্যাট করার আগে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম।'’
আইপিএলে ৩৩টি ছক্কা হজম করতে হয়েছিল রশিদকে। ১৫টি ম্যাচ থেকে রশিদের ঝুলিতে এসেছিল ৯টি উইকেট। যে রশিদ খান যে কোনও অধিনায়কের তুরুপের তাস, সেই রশিদ খানই আসল সময়ে পথভ্রষ্ট হচ্ছেন। মার খাচ্ছেন ব্যাটসম্যানদের হাতে। তবে কি রশিদ-অধ্যায় শেষ হচ্ছে টি-টোয়েন্টির দুনিয়ায়? ঘটনা হল ২০২৩ বিশ্বকাপের পর পিঠের অস্ত্রোপচার করান রশিদ। এরপর থেকেই বল হাতে ফর্মহীন তিনি। অস্ত্রোপচারের পরে তড়িঘড়ি করে মাঠে ফেরাটাই ছিল ভুল। রশিদ খান এ কথা স্বীকার করে নেন। সেই কারণেই কি তিনি নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছেন না? রশিদ খান কিন্তু নিজেকে নিয়ে প্রশ্ন তৈরি করে দিলেন। 

আরও পড়ুন: এশিয়া কাপে খেলবেন বুমরা? তারকা পেসার নিজেই দিলেন আপডেট