মোহনবাগান ৩ (আলবার্তো ২, ম্যাকলারেন ১)

পাঞ্জাব এফসি ১ (রিকি)

 

আজকাল ওয়েবডেস্ক: গোলের দরকার পড়লেই তাঁর ডাক পড়ছে। তিনি আলবার্তো রড্রিগেজ। পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে আলবার্তোর দু’গোলে ভর করে জয়ে ফিরল মোহনবাগান। টানা আট ম্যাচে জয়ের পর এফসি গোয়ার কাছে হারতে হয়েছিল মলিনা ব্রিগেডকে। বৃহস্পতিবার পাঞ্জাবকে হারিয়ে ফের জয়ের সরণীতে ফিরলেন বাগান ফুটবলাররা। তাও আবার দলের তিন অন্যতম প্রধান ফুটবলার পেত্রাতোস, স্টুয়ার্ট এবং আশিককে ছাড়াই। এদিন মাঝমাঠের দায়িত্ব ছিল থাপা এবং আপুইয়ার ওপর। তাঁরাও একশোয় একশো পেয়ে পাশ করলেন। বাগানের হয়ে আলবার্তো ছাড়া পেনাল্টিতে একটি গোল করেন ম্যাকলারেন। অ্যাওয়ে ম্যাচে জিতে লিগ শীর্ষে ফের পয়েন্টের ব্যবধান বাড়াল মলিনার ছেলেরা। তবে গোয়া ম্যাচের মত এদিনও খেলার শুরুতে পিছিয়ে পড়ে মোহনবাগান। ১২ মিনিটের মাথায় একক দক্ষতায় পাঞ্জাবকে এগিয়ে দেন রিকি।

 

বাঁদিক থেকে আশিস রাইকে কাটিয়ে একা দৌড়ে বিশাল কাইথের পায়ের তলা দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি। পিছিয়ে পড়ে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ালেও প্রথমার্ধে রক্ষণ ভাঙা যায়নি পাঞ্জাবের। দিমিত্রি না থাকায় এদিন ৪-৪-২ ফর্মেশনে দল সাজিয়েছিলেন মলিনা। ওপরে রেখেছিলেন দুই অজি ফরোয়ার্ড ম্যাকলারেন এবং কামিংসকে। প্রথমার্ধ ১-০ ফলাফলেই শেষ হয়। দ্বিতীয়ার্ধে দলের খেলায় সামান্য পরিবর্তন আনেন বাগান কোচ। কামিংসকে সামান্য নিচে নাম্বার টেন পজিশনে খেলিয়ে দেন। এরপরই বাড়ে আক্রমণের ঝাঁঝ। বেশ কিছু গোলের সুযোগও তৈরি হয়। ৪৮ মিনিটের মাথায় কর্ণার থেকে হেডে গোল শোধ করেন আলবার্তো। কামিংসের কর্ণার বাঁচাতে গোল ছেড়ে এগিয়ে এসেছিলেন পাঞ্জাব রক্ষক রবি কুমার। আলবার্তো সহজেই লাফিয়ে ফাঁকা গোলে বল ঢুকিয়ে দেন। ৫১ মিনিটের মাথায় বড়সড় ধাক্কা খায় পাঞ্জাব। লিস্টনকে ফাউল করেন ভিদাল। রেফারি রাহুল গুপ্তা হলুদ কার্ড দেখান।

 

ভিদালকে দেখা যায় রেফারির সিদ্ধান্তের পর হাততালি দিতে। এরপরেই সময় নষ্ট না করে তাঁকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। ১০ জনের পাঞ্জাবের পক্ষে ম্যাচে ফেরা ছিল একপ্রকার অসম্ভব। ৬৪ মিনিটের মাথায় বক্সের ভেতর থাপাকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় বাগান। সহজেই ২-১ করেন ম্যাকলারেন। সবুজ মেরুনের হয়ে প্রথমবার পেনাল্টি থেকে গোল করলেন তিনি। কফিনে শেষ পেরেক পোঁতেন আলবার্তো। ৬৯ মিনিটের মাথায় থাপার ভাসানো ক্রস থেকে হেড করলে বল জড়িয়ে যায় গোলে। তারপরেও অবশ্য একাধিক সুযোগ এসেছিল পাঞ্জাবের কাছে। কিন্তু গোলের ব্যবধান আর বাড়ানো যায়নি। চলতি বছরের শেষ ম্যাচে সমর্থকদের বছর শেষের উপহার দিয়ে গেলেন কামিংসরা। ২ জানুয়ারি যুবভারতীতে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ম্যাচ সবুজ মেরুনের।