আজকাল ওয়েবডেস্ক: দুবাইয়ে ভারতের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচের আগে অনেক কথাই শোনা গিয়েছিল বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর মুখে। তবে সেই 'থ্রেট' পড়ে রইল মাঠের বাইরেই। সামির পাঁচ উইকেট এবং শুভমান গিলের শতরানে ভর করে সহজেই বাংলাদেশকে হারিয়ে দিল ভারত। ম্যাচের প্রথম ইনিংসে অর্ধেক কাজ সেরে ফেলেছিলেন বোলাররা। ২২৮ রান তাড়া করতে গিয়ে গিলের শরান অনেকটাই কাজ সোজা করে দিল ভারতের। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপে ভারতকে যে স্ট্র্যাটেজি নিতে দেখা গিয়েছিল এদিনও সেই রকমই দেখা গেল ভারতের ব্যাটারদের থেকে। শুরুতে বাংলাদেশের বোলারদের সেটল হতেই দিলেন রোহিত শর্মা, শুভমান গিল। মুস্তাফিজুর, তাসকিনকে বাধ্য করলেন পরিকল্পনা বদলাতে। 

 

প্রথম ন'ওভারেই ৭০ রান তুলে ফেলায় রান তাড়া করার কাজটা অনেকটাই সোজা হয়ে গিয়েছিল। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ঝোড়ো ইনিংস খেললেন রোহিত শর্মা(৪১)। পরিস্থিতি এমন জায়গায় নিয়ে এলেন যে শান্ত বাধ্য হলেন স্পিনার নিয়ে আসতে। তবে কাজটা ততটাও সহজ ছিল না। পরের দিকে দুবাইয়ের স্লো ট্র্যাকে রান তাড়া করা বেশ কঠিন ছিল। তাসকিনের বলে রোহিত ফেরার পর অ্যাঙ্কর রোলের ভূমিকা নেন বিরাট কোহলি। রানের গতি খানিকটা কমলেও ডট বল বেশি খেলছিলেন না গিল, বিরাট। চালু রেখেছিলেন সিঙ্গলস। ফলে, গোটা ইনিংসেই ভারতীয় ব্যাটারদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারেননি বাংলাদেশ। জেতার ক্ষীণ একটা সুযোগ  একবারই দেখা গিয়েছিল বিরাট এবং শ্রেয়স আউট হওয়ার পর। কোহলি(২২) এবং আইয়ার(১৫) আউট হওয়ার পর ম্যাচের হাল ধরেন রাহুল।

 

তারপরেও সুযোগ এসেছিল একটা। তাসকিন আহমেদের বলে ন'রানের মাথায় রাহুলের সহজ ক্যাচ ছাড়েন জাকের হুসেন। তারপর আর কোনও সুযোগ দেয়নি টিম ইন্ডিয়া। গিলও সেট হয়ে গিয়েছিলেন। ৪৬.৩ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় ভারত। এদিন প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারের শেষে মুশফিকর রহিমরা ২২৮ অল আউট হন। এই রানটাও হত না যদি না রোহিত জাকেরের লোপ্পা ক্যাচ মিস করতেন। রোহিতের ক্যাচ মিসের পর একাধিক ফিল্ডিং মিস হয়েছে টিম ইন্ডিয়ার। ক্যাচ ফেলেন হার্দিক, স্টাম্পের সুযোগ মিস করেন কিপার রাহুলও।

 

বাংলাদেশের হয়ে শতরান করেছেন তৌহিদ হৃহয়। ১১৮ বলে ১০০ করে দলকে লড়াইয়ের জায়গায় এনে দিয়েছেন তিনি। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন জাকেন হুসেন(৬৮)। এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। খেলার শুরুতেই প্রথম দু’ওভারে দুটি উইকেট হারায় তারা। একটি নেন শামি এবং একটি নেন হর্ষিত রানা। ওপেনার তানজিদ হাসান(২৫) পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করলেও তা সফল হয়নি। কিছুক্ষণের মধ্যেই তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

 

এরপর প্রতিপক্ষকে জোড়া ধাক্কা দেন অক্ষর প্যাটেল। পরপর দু’বলে মুশফিকর রহিম এবং তানজিদকে আউট করে ৩৫ রানে বিপক্ষের পাঁচ উইকেট ফেলে দেন তিনি। কিন্ত হ্যাটট্রিক বলে ফার্স্ট স্লিপে দাঁড়িয়ে জাকেরের লোপ্পা ক্যাচ ধরতে পারেননি রোহিত শর্মা। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ১৫৪ রানের পার্টনারশিপ করেন তৌহিদ এবং জাকের। সামির স্লোয়ারে জাকের ফেরার পর আর বাংলাদেশকে বড় পার্টনারশিপ করার সুযোগ দেয়নি টিম ইন্ডিয়া। পাঁচ উইকেট নেন মহম্মদ সামি।