আজকাল ওয়েবডেস্ক: আধুনিক যুগে দ্রুত সমাধান আর সৌন্দর্যের দৌড়ে এগিয়ে যেতে ওজন কমাতে অনেকেই আশ্রয় নিয়ে থাকেন ড্রাগ বা ওষুধের। GLP-1 ওষুধ যেমন ওজেম্পিক (Ozempic) এখন এক নতুন ওজন কমানোর ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এই ওষুধ কি সত্যিই চিকিৎসাবিজ্ঞানের আশ্চর্য নাকি ওজন কমানোর শর্টকার্ট? জানা গিয়েছে, সম্প্রতি এক টেলিহেলথ প্ল্যাটফর্মের সহায়তায় সেরেনা উইলিয়ামস তাঁর সন্তান জন্মের পর ওজেম্পিক ব্যবহার করেন। বিষয়টি ঘিরে বিশ্বজুড়ে আলোচনা শুরু হয়। তবে পুষ্টিবিদ রায়ান ফার্নান্দো তাঁর সিদ্ধান্তকে সঠিক বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘সেরেনা সবসময় নিয়মিত অনুশীলন করেছে, সঠিকভাবে খেয়েছে। কিন্তু সিজারিয়ান প্রসবের পর তাকে চিকিৎসাগতভাবে এই সাপোর্ট প্রয়োজন হয়েছিল।
এই ওষুধটি তাকে ক্লিনিক্যালি প্রেস্ক্রাইব করা হয়েছিল, সৌন্দর্যের জন্য নয়।’ কিন্তু তাই বলে সকলেই যে ওজন কমাতে বা রোগা হতে বা সৌন্দর্য বাড়াতে এই ওষুধ ব্যবহার করে থাকেন তা কিন্তু একেবারেই নয়। ভারতের দুই প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা রোহিত শর্মা ও যুবরাজ সিং একেবারেই ভিন্ন পথ নিয়েছিলেন। ফার্নান্দো জানান, রোহিত শর্মা আইপিএলের পরেই প্রায় আট কেজির কাছাকাছি ওজন কমিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি রোহিতের ডায়েটে কাজ করেছি। ওর কার্ডিওভাসকুলার ফিটনেস দুর্দান্ত। সম্প্রতি সে ইয়ো-ইয়ো টেস্ট পাস করেছে, যা সর্বোচ্চ মানদণ্ড। এটি সহনশীলতা, ক্ষিপ্রতা ও ম্যাচ রেডিনেস প্রমাণ করে। এখন হয়তো আমাদের কাছে ওর শারীরিক গঠন খুব আকর্ষণীয় মনে হয় না, কিন্তু তার পারফরম্যান্সই আসল প্রমাণ। ভারতে আমরা প্রায়ই কাউকে কাউকে রোগা বা মোটা বলে বিদ্রুপ করি, কিন্তু আসলে রোহিতের অতিরিক্ত ভরই তার শক্তি ও পাওয়ারে অবদান রাখছে।’
অন্যদিকে, ক্যান্সার জয় করে ফেরা যুবরাজ সিং সম্পূর্ণ আলাদা পথে এগিয়েছেন। তিনি জেনেটিক টেস্টিং, মাইক্রোবায়োম অ্যানালাইসিস ও কাস্টমাইজড নিউট্রিশনের মাধ্যমে নিজের রূপান্তর ঘটিয়েছেন। ফার্নান্দো বলেন, ‘আমরা কখনও তার প্রিয় খাবার বন্ধ করিনি। বরং সেগুলিকে ব্যক্তিগতভাবে সাজিয়েছি। এটাই আগামী দিনের পুষ্টিবিজ্ঞানের দিশা।’ রোহিতের ফিটনেস নিয়ে অনেকেই সন্দিহান ছিলেন। কারণ মাঝখানে দেখা গিয়েছিল, তাঁর শরীরে অতিরিক্ত মেদ। যা নিয়ে রীতিমতো ট্রোল হতে হয়েছিল টিম ইন্ডিয়ার ওয়ানডে অধিনায়ককে। সেই রোহিত নিজেকে সম্পূর্ণ বদলে ফেলেছেন। ছিমছাম চেহারার রোহিতের সেই ছবি ভাইরালও হয়েছে। জানা যায়, ২০ কেজি ওজন ঝরিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি মুম্বই বিমানবন্দরে তাঁকে কালো পোশাকে দেখা গিয়েছিল। যা দেখে ভক্তরা তো অবাক! নেটিজেনরা বলছেন, ‘এয়ারপোর্ট লুকে’ হিটম্যানকে দেখে দারুণ লাগছে। ওজন কমানো দেখে তাঁরা প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন রোহিতকে। এটা ঘটনা, ৯৫ কেজি থেকে ২০ কেজি ওজন কমিয়ে রোহিতের ওজন এখন ৭৫ কেজি। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সম্প্রতি রোহিতের ডায়েট চার্ট প্রকাশ্যে এনেছে। যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
সেই ডায়েট চার্টে দেখা যাচ্ছে,
সকাল ৭টা: ৬টা ভেজানো আমন্ড, স্প্রাউট, জুস
সকাল ৯.৩০: ফলের সঙ্গে ওটমিল, এক গ্লাস দুধ
সকাল ১১.৩০: দই, চিলা, ডাবের জল
দুপুর ১.৩০: সবজির তরকারি, ডাল, ভাত, স্যালাড
বিকেল ৪.৩০: ফ্রুট স্মুদি, ড্রাই ফ্রুটস
সন্ধে ৭.৩০: পনির ও সবজি, পোলাও, ভেজিটেবল স্যুপ
রাত ৯.৩০: এক গ্লাস দুধ, মিক্সড নাটস
