আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার হার্দিক পাণ্ডিয়া শুক্রবার আহমেদাবাদে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পাশাপাশি তাঁর মানবিক আচরণ দিয়েও মন জয় করলেন।

সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন হার্দিক। তাঁর এবং তিলকের ঝোড়ো পার্টনারশিপে রানের পাহাড় গড়ে টিম ইন্ডিয়া।

ইনিংসের শুরুতেই প্রথম বলেই ক্রিজ ছেড়ে এগিয়ে এসে করবিন বশকে মিড-অফের উপর দিয়ে বিশাল ছক্কা হাঁকান হার্দিক।

বলটি বাউন্ডারি ছাড়িয়ে সোজা গিয়ে লাগে দলের ডাগআউটের পাশে দাঁড়ানো এক ক্যামেরাম্যানের গায়ে। ঘটনায় খেলা কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রাখতে হয় এবং ওই ক্যামেরাম্যানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

সৌভাগ্যবশত তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে আবার নিজের কাজে ফিরে আসেন। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর হার্দিক নিজে গিয়ে ক্যামেরাম্যানের খোঁজ নেন।

তাঁকে জড়িয়ে ধরেন এবং কাঁধে আইস প্যাক লাগিয়ে দিতেও দেখা যায় ভারতীয় তারকাকে। এই মুহূর্তের ভিডিও ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

ম্যাচে হার্দিক পান্ডিয়া ও তিলক ভার্মার বিধ্বংসী অর্ধশতরান এবং বরুণ চক্রবর্তীর চার উইকেটের দাপটে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩০ রানে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৩-১ ব্যবধানে জিতে নেয় ভারত।

এর মাধ্যমে ২০২৫ সাল শেষ করল দারুণ এক সিরিজ জয়ের স্বাদ নিয়ে। হার্দিক মাত্র ১৬ বলে অর্ধশতরান পূরণ করেন, যা ভারতের হয়ে দ্বিতীয় দ্রুততম।

তাঁর ওপরে রয়েছেন একমাত্র ১২ বলে অর্ধশতরান করা যুবরাজ সিং। তিলক ভার্মা করেন সাবলীল ৭৩ রান। এই দুইয়ের ব্যাটিংয়ে ভর করে ভারত তোলে ৫ উইকেটে ২৩১ রান।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কুইন্টন ডি কক (৬৫) যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন, ততক্ষণ লড়াইয়ে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে তিনি আউট হওয়ার পর মাত্র ৮১ রানের মধ্যে সাত উইকেট হারিয়ে ৮ উইকেটে ২০১ রানে থেমে যায় প্রোটিয়ারা।

৩-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নেয় সূর্যকুমার যাদবের ভারত। ভারত যশপ্রীত বুমরাকে (৪-০-১৭-২) ডেথ ওভারের জন্য তুলে রাখায় পাওয়ারপ্লেতে অর্শদীপ সিংকে (১/৪৭) আক্রমণ করেন ডি কক।

দুই ওভারে ছ’টি চার ও একটি ছক্কা হাঁকিয়ে রান তাড়া করার ক্ষেত্রে গতি বাড়ান। তবে ২৩১ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে তাঁর একার লড়াই যথেষ্ট ছিল না।

রিজা হেনড্রিক্স (১৩) শেষ ম্যাচেও হতাশাজনক ইনিংস খেলেন। মিডল অর্ডারেও ব্যাটাররা রান না পাওয়ায় ম্যাচ হেরে যায় প্রোটিয়ারা।