আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাজধানী এক্সপ্রেসের ধাক্কায় অসমে মৃত আট হাতি। জখম হয়েছে একটি শিশু হাতিও।
সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত ২.১৭ মিনিট নাগাদ অসমের হোজাই জেলায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার জেরে রাজধানী এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন এবং পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। তবে যাত্রীরা সকলেই সুরক্ষিত রয়েছেন বলে জানিয়েছে উত্তর–পূর্ব সীমান্ত রেল কর্তৃপক্ষ।
রেল সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার গভীর রাতে উত্তর–পূর্ব সীমান্ত রেলের লামডিং ডিভিশনের যমুনামুখ–কামপুর সেকশন ধরে যাচ্ছিল সাইরাং–দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস। যমুনামুখ–কামপুর সেকশন ধরে দ্রুত গতিতে ট্রেনটি যাওয়ার সময় হাতির একটি পাল লাইনে চলে আসে। স্থানীয়দের দাবি, ওই পালে অন্তত ১১–১২টি হাতি ছিল।
হাতির পালের সঙ্গে ধাক্কা লাগার পরেই রাজধানীর ইঞ্জিন এবং পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। যাত্রীদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে ইতিমধ্যেই বিশেষ ট্রেন পাঠিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন রেলের আধিকারিকরাও। দুর্ঘটনাস্থলটি অসমের গুয়াহাটি থেকে ১২৬ কিলোমিটার দূরে। দুর্ঘটনার জেরে উত্তর–পূর্ব ভারতের বিস্তীর্ণ অংশে ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। রেলের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, যে জায়গায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি নির্ধারিত ‘এলিফ্যান্ট করিডর’ (হাতির চলাচলের জন্য যে সমস্ত জায়গায় ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রিত করা হয়) নয়। লাইনে হাতির পাল দেখে আপৎকালীন ব্রেক কষেছিলেন চালক। কিন্তু ট্রেন দ্রুতগতিতে থাকায় থামানো সম্ভব হয়নি চালকের পক্ষে।
বন দপ্তর জানিয়েছে, এই দুর্ঘটনায় আটটি পূর্ণবয়স্ক হাতি মারা গিয়েছে। একটি শিশু হাতি জখম হয়েছে। রেল জানিয়েছে, যাত্রীরা সবাই সুরক্ষিত আছেন। কোনও হতাহতের খবর নেই। সূত্রের খবর, হাতিগুলির দেহের অংশ ট্রেন লাইনের উপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। তা সরিয়ে রেল চলাচল স্বাভাবিক করতে বেশ কিছুটা সময় লেগেছে। লাইনচ্যুত পাঁচ বগির যাত্রীদের অন্য বগিতে রাখা হয়েছে। ট্রেন গুয়াহাটি পৌঁছনোর পর নতুন বগি জুড়ে ট্রেনটি গন্তব্যে যাবে। প্রাথমিক অনুমান ঘন কুয়াশার জেরেই এই দুর্ঘটনা। হাতির পাল সম্ভবত ট্রেনটি দেখতে পায়নি। বা ট্রেনের চালকও হাতির পালকে লক্ষ্য করেননি।
এটা ঘটনা, এর আগেও এরকম ঘটনা বহুবার ঘটেছে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে হামেশাই এই ঘটনা ঘটে। আর তাই হাতিদের বাঁচাতে বিশেষ উদ্যোগও নিয়েছে বন দপ্তর। কিন্তু তাতেও যে সমস্যার সমাধান হয়নি তার প্রমাণ মিলল ফের।
