আজকাল ওয়েবডেস্ক: এশিয়া কাপে ভারতের অভিযান শুরুর আগে যাবতীয় স্পটলাইট যশপ্রীত বুমরার ওপর। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুটো টেস্টে না খেলার পর এবার এশিয়া কাপে ফিরছেন তারকা পেসার। কিন্তু এই টুর্নামেন্টে তাঁর অংশ নেওয়া ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট প্রসঙ্গ উস্কে দিয়েছে। শেষ টেস্টে না খেলায়, তাঁকে নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সামনে একটানা ম্যাচ টিম ইন্ডিয়ার। এই অবস্থায় কীভাবে তাঁর ওয়ার্কলোড ম্যানেজ করা হবে, সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। শেষ টি-২০ বিশ্বকাপের পর প্রথম সাদা বলের সিরিজ। তাঁর প্রত্যাবর্তন নিয়ে অনেকেই খুব আশাবাদী নয়। তারমধ্যে রয়েছেন অজয় জাদেজা। ভারতের প্রাক্তনী মশকরা করে বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে বুমরা খেললে, তিনি স্ট্রাইকে চলে যাবেন। তুলনামূলকভাবে সহজ ম্যাচে দলের একনম্বর বোলারকে না খেলানোর পরামর্শ দেন। স্পষ্ট জানান, এইধরনের ম্যাচে তাঁকে বিশ্রাম দেওয়া উচিত।
জাদেজার সঙ্গে একমত নয় ইরফান পাঠান। তিনি মনে করেন, কোনও প্লেয়ার দলে থাকলে পুরো সিরিজে তাঁকে পাওয়া উচিত। শুধুমাত্র নির্দিষ্ট ম্যাচে নয়। তিনি মনে করেন, বারবার বাদ দিলে এবং দলে একাধিক পরিবর্তন করলে, ছন্দ নষ্ট হয়। তিনি মনে করেন, এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচেও বুমরাকে খেলানো উচিত। ভারতের বোলিং আক্রমণের প্রশংসা করেন পাঠান। তিনি মনে করেন, যদি ভারত আট নম্বর পর্যন্ত একজন ব্যাটারকে খেলায়, তাহলে কুলদীপ যাদবের খেলার সম্ভাবনা থাকবে। বর্তমানে আট নম্বরে কে ব্যাট করবে, সেই নিয়ে চর্চা চলছে। এই জায়গায় ব্যাট করার মতো কেউ নেই। এমন একজন বোলার দরকার যে প্রয়োজনে ব্যাট হাতেও গুরুত্বপূর্ণ রান যোগ করতে পারবে। তাই পারমুটেশন-কম্বিনেশন করে দেখা হবে। আট নম্বরে কোনও টেলএন্ডার ব্যাট করবে? নাকি অক্ষর প্যাটেল, জীতেশ শর্মা বা শিবম দুবেকে পাঠানো হবে? পাকিস্তান ম্যাচের আগে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ম্যাচে পরীক্ষার সুযোগ পাবে টিম ইন্ডিয়া। দ্বিতীয় ম্যাচেই পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে ভারত।
কয়েকদিন আগে বুমরার ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন ভেঙ্গসরকর। তিনি মনে করেন, তাঁর ফিটনেস এমন হলে, আইপিএল থেকে সরে যাওয়া উচিত ছিল। ভেঙ্গসরকর বলেন, 'ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের গুরুত্ব এবং বুমরার পিঠের অবস্থায় কথা মাথায় রেখে, ওকে আইপিএল থেকে সরে দাঁড়াতে বলতে পারত বিসিসিআই, নির্বাচকরা এবং টিম ম্যানেজমেন্ট। এই আইকনিক সিরিজের জন্য সম্পূর্ণ ফিট বুমরাকে প্রয়োজন ছিল। আমি নির্বাচক হলে, মুকেশ আম্বানি এবং বুমরার সঙ্গে কথা বলে আইপিএলে না খেলার বিষয়টা নিশ্চিত করতাম। বা আইপিএলে কম ম্যাচ খেলার কথা বলতাম। আমি নিশ্চিত ওরা সেটা মেনে নিত। আইপিএলে কত রান করেছে, কত উইকেট নিয়েছে কে মনে রাখে? ইংল্যান্ড সিরিজে সিরাজের পারফরম্যান্সের কথা সবাই মনে রাখবে। শুভমন গিল, কেএল রাহুল, যশস্বী জয়েসওয়াল, ঋষভ পন্থের ব্যাটিংয়ের কথা সবাই মনে রাখবে। এমন সিরিজ চার বছরে একবার হয়। ২০২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ভারত আর নিশ্চয়ই কোনও পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে না। তাই এমন সিরিজে বুমরাকে পাঁচ ম্যাচে পাওয়া গেলে ভাল হত। সেক্ষেত্রে সিরিজ জেতার একটা সম্ভাবনা ছিল।' সেক্ষেত্রে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো দলের বিরুদ্ধে তারকা পেসারের খেলা অনেকেই মেনে নিতে পারছে না।
