আজকাল ওয়েবডেস্ক: চলতি অ্যাশেজ সিরিজে মাঠের ব্যর্থতার সঙ্গে সঙ্গে মাঠের বাইরের বিতর্কও যেন পিছু ছাড়ছে না ইংল্যান্ড দলকে। অস্ট্রেলিয়া সফর এমনিতেই ভুলে যাওয়ার মতো হয়ে উঠেছে, তার মধ্যেই মাঝপথে উঠে এসেছে ‘ড্রিঙ্কিং-গেট’ বিতর্ক।
একাধিক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্টের মাঝখানে প্রায় ছ’দিন ধরে আকন্ঠ মদ্যপানে মেতে ছিলেন ইংল্যান্ডের কয়েকজন ক্রিকেটার, বিশেষ করে নুসার সমুদ্রতটের রিসর্টে চার দিনের বিরতির সময়।
এই বিতর্ক আরও উসকে দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও, যেখানে ইংল্যান্ডের ওপেনার বেন ডাকেটকে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় টিম হোটেলে ফেরার পথ খুঁজে পেতে হিমশিম খেতে দেখা যায়।
তবে এই ঘটনায় ডাকেটকে এককভাবে দোষারোপ করতে নারাজ প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়ক মাইকেল ভন। সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফে নিজের কলামে ভন লেখেন, ‘কয়েকদিনের ছুটিতে কয়েক গ্লাস বিয়ার খাওয়া তরুণদের দিকে আমি আঙুল তুলতে চাই না। ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার সময় আমিও ঠিক একই কাজ করেছি। যদিও অন্তত জানতাম কখন বাড়ি ফেরার সময় হয়েছে। এটা হয়তো বেন ডাকেটের শেখা দরকার।’
ভনের মতে, এই সমস্যা কোনও একজন বা একটি দলের নয়, বরং ক্রিকেটে গড়ে ওঠা একটি বৃহত্তর ‘মদ্যপানের সংস্কৃতি’র ফল।
তিনি লেখেন, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশগুলোর ক্রিকেট সংস্কৃতিতেই এই প্রবণতা রয়েছে। তিনি লেখেন, ‘আমাদের কাছে যে প্রমাণ আছে, তার ভিত্তিতে ডাকেট বা অন্য কোনও ক্রিকেটারকে শাস্তি দেওয়া উচিত নয়। কারণ এটা অনেক বড় সমস্যা, ক্রিকেট নিজেই এই মদ্যপানের সংস্কৃতি তৈরি করেছে। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা সবার ক্ষেত্রেই একই চিত্র।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘তরুণদের একটি দলকে যদি তিন-চার দিনের ছুটি দেওয়া হয়, তারা এমন কিছু করবেই।’ তবে ক্রিকেটারদের বদলে ইংল্যান্ড দলের অ্যাশেজ প্রস্তুতি নিয়েই কড়া সমালোচনা করেছেন ভন।
২০০৫ সালে ঐতিহাসিক অ্যাশেজ জয়ী ইংল্যান্ড দলের অধিনায়ক ভন প্রশ্ন তুলেছেন, সফরের পরিকল্পনা নিয়ে। ভনের কথায়, ‘নুসার ট্রিপ এক বছর আগেই বুক করা ছিল। কিন্তু ওয়াকা (পার্থ স্টেডিয়াম) এক বছর আগে বুক করা হয়নি। প্রথম টেস্টের আগে বাউন্সি পিচে প্রস্তুতির কথা তারা ভাবল না, অথচ ছুটি কাটানোর পরিকল্পনা আগেই চূড়ান্ত ছিল, এটা কীভাবে সম্ভব?’
এখানেই থামেননি তিনি। ভন লেখেন, ‘দলে কোনও ফিল্ডিং কোচ নেই, ফলে ক্যাচ পড়ছে। স্পিন বোলিং কোচ আছে, কিন্তু স্পিনার খেলানো হচ্ছে না।
ডেটা অ্যানালিসিসের গুরুত্বও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। খুঁটিনাটির দিকে নজর দিতে হবে, কিন্তু খুঁটিনাটি বিষয়গুলোই সবচেয়ে বিরক্তিকর এবং সেখানেই ইংল্যান্ড ব্যর্থ।’
