আজকাল ওয়েবডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আসন্ন তিন ম্যাচের সিরিজ থেকে বাদ পড়েছেন মহম্মদ সামি। একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্রের রিপোর্ট অনুযায়ী, জাতীয় দলের দরজা তারকা পেসারের জন্য চিরতরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি ঘরোয়া ক্রিকেটে আহামরি পারফরম্যান্স নেই সামির। গত মাসে ৩৫ বছরে পা রেখেছেন। এই পরিস্থিতিতে ফের জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন করা অত্যন্ত কঠিন। চলতি বছরের মার্চে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে শেষবার খেলেন সামি। কিন্তু চোট-আঘাতের জন্য মাঝে শুধুই ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেন। কিন্তু তেমন নজর কাড়তে পারেননি। সেই কারণেই তাঁকে অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য বিবেচনা করা হয়নি। 

বোর্ডের এক কর্তা বলেন, 'এই মুহূর্তে জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন সামির জন্য কঠিন। দলীপ ট্রফিতে ওকে আহামরি লাগেনি। বিশেষ কিছু করতে পারেনি। মাত্র একটা স্পেল ভাল বল করে। তারওপর বয়স বাড়ছে। পেসের দিক থেকেও দলীপ ট্রফিতে সেরা ছন্দে ছিল না। তবে আইপিএলে খেলা চালিয়ে যেতে, ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ কয়েকটা ম্যাচ খেলতে হবে।' বাংলার হয়ে রঞ্জি খেলার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন সামি। ১৫ অক্টোবর উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে রঞ্জি যাত্রা শুরু বাংলার। হেড কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা বলেন, 'আমি ছয়-সাতদিন আগে সামির সঙ্গে কথা বলেছি। ও রঞ্জিতে খেলার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে। তাই আমরা ওর খেলার বিষয়ে আশাবাদী।' তবে সামির খেলা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এক সিএবি কর্তা বলেন, বাংলার হেড কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লার সঙ্গে আলোচনা করে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সিএবির সিনিয়র কর্তা বলেন, 'মঙ্গলবার আমরা লক্ষ্মীর সঙ্গে আলোচনায় বসব। তারপরই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।' 

সময়টা খারাপ যাচ্ছে সামির। পেশাদার জীবনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনেও একের পর এক ঝড় বয়ে যাচ্ছে। কয়েকদিন আগে সামির বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ আনেন প্রাক্তন স্ত্রী হাসিন জাহান। দাবি করেন, তাঁদের দশ বছরের মেয়ে আয়রার পড়াশোনার দেখভাল করেন না তারকা পেসার। তার বদলে অগ্রাধিকার দেন বান্ধবীর ছেলেমেয়েদের। লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করেন উপপত্নীর বাচ্চাদের পেছনে। তাঁদের জন্য বিজনেস ক্লাসের টিকিট, স্কুলের মাইনে, সবকিছুই সামি দেন। এই বিষয়ে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন সামির প্রাক্তন স্ত্রী। তারকা পেসারের থেকে মাসে ৪ লক্ষ টাকা খোরপোশ পান হাসিন। তারমধ্যে ২.৫ লক্ষ তাঁদের মেয়ের জন্য। হাসিনের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট অনুযায়ী, সম্প্রতি আয়রা একটি প্রখ্যাত ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে ভর্তি হয়েছে। ইনস্টাগ্রামে হাসিন লেখেন, 'শত্রুরা চায়নি আমার মেয়ে একটা ভাল স্কুলে ভর্তি হোক। কিন্তু আল্লাহ তাঁদের পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছে। ও খুব ভাল একটা আন্তর্জাতিক স্কুলে ভর্তি হয়েছে। আমার মেয়ের বাবা কোটিপতি হওয়া সত্ত্বেও মহিলাদের প্রতি আসক্তির জন্য মেয়ের জীবন নিয়ে খেলছে। উপপত্নীর ছেলেমেয়েদের এলিট স্কুলে পড়াশোনা করাচ্ছে। বান্ধবীর বিজনেস ক্লাসের টিকিটের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করছে। কিন্তু দাবি করে, নিজের মেয়ের পড়াশোনার জন্য টাকা নেই।' কেরিয়ারের দিক থেকে, এখনই অবসরের কোনও ইচ্ছে নেই সামির।