ইস্টবেঙ্গল - ০
মুম্বই সিটি এফসি - ০
আজকাল ওয়েবডেস্ক: একপেশে ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট নিয়ে ফিরছে লাল হলুদ। শনিবার মুম্বই সিটি এফসির সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করল ইস্টবেঙ্গল। বিপক্ষের ডেরায় লিগ শিল্ড জয়ীদের থেকে দু"পয়েন্ট ছিনিয়ে নিতে পারায় সন্তুষ্ট হবেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। শেষ দুই ম্যাচ ড্র হলেও তিন ম্যাচে ক্লিনশিট রাখল লাল হলুদ। যা স্প্যানিশ কোচকে তৃপ্তি দেবে। অনবদ্য রক্ষণ সংগঠন এবং দুর্দান্ত গোলকিপিং এদিন ইস্টবেঙ্গলকে এক পয়েন্ট এনে দেয়। মূলত প্রভসুখন গিলের গ্লাভসে আটকে গেল মুম্বই। আগাগোড়া আধিপত্য মুম্বইয়ের। মুহুর্মুহু আক্রমণ সত্ত্বেও গোলমুখ খুলতে পারেনি স্টুয়ার্ট, বিপিনরা। বিপক্ষের আগ্রাসী এবং প্রেসিং ফুটবলে কুয়াদ্রাতের দলের জেতার সুযোগ ছিল না। তবে এই ড্র ইস্টবেঙ্গলের নৈতিক জয়। বারবার লাল হলুদের পায়ের জঙ্গলে আটকে যাওয়ায় শেষদিকে হতাশ দেখায় মুম্বইয়ের ফুটবলারদের। কিন্তু বিপক্ষের জমাটে রক্ষণের ফাঁকফোকর খুঁজে বের করতে পারেনি চাংতেরা।
নর্থ ইস্টের বিরুদ্ধে পাঁচ গোলে জয়ের পর পাঞ্জাবের কাছে আটকে যায় ইস্টবেঙ্গল। এদিন মুম্বইয়ের সঙ্গে প্রথমার্ধ গোলশূন্য। আগের ম্যাচের দলে মাত্র একটি পরিবর্তন করেন কুয়াদ্রাত। নন্দকুমারের জায়গায় দলে ফেরেন বিষ্ণু। নর্থ ইস্ট ম্যাচে পরে নেমে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন নন্দ। পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে চেনা ছন্দে পাওয়া যায়নি তাঁকে। তাই এদিন আবার পরিবর্ত হিসেবে নামান স্প্যানিশ কোচ। ঘরের মাঠে প্রথম থেকেই দাপট ছিল মুম্বইয়ের। বিপজ্জনক দেখায় গ্রেগ স্টুয়ার্ট, পেরেরা ডিয়াজকে। সঙ্গে উইংয়ে বিপিনের গতি। কিন্তু ফিনিশিংয়ের অভাব। নতুন কোচের অধীনে প্রথম ম্যাচ ছিল মুম্বইয়ের। ম্যাচের ৩ মিনিটে প্রথম সুযোগ আইল্যান্ডার্সদের। পেরেরা ডিয়াজের ক্রস থেকে জয়েশ রানের হেড বাইরে যায়। নিশ্চিত সিটার মিস। ম্যাচের ৯ মিনিটে আবার সুযোগ নষ্ট। বিপিনের মাইনাসে পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ পেরেরা ডিয়াজ। মুম্বইয়ের মাঝমাঠের দায়িত্বে ছিলেন স্টুয়ার্ট। বেশ কয়েকটা ডিফেন্স চেরা পাস বাড়ান। কিন্তু কোনওক্রমে সামাল দেন হিজাজি, চুংনুঙ্গা, নিশু কুমাররা। প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গলের সুযোগ মাত্র একটা। ৩৩ মিনিটে বোরহার শট বাইরে যায়। প্রথমার্ধের খেলায় পাঁচটি হলুদ কার্ড দেখে দু"দলের ফুটবলাররা। এর থেকেই ম্যাচের টেম্পো বোঝা যাচ্ছে।
প্রথম ৪৫ মিনিটের অধিকাংশ সময় রক্ষণাত্মক ফুটবল লাল হলুদের। সেই অর্থে বলই পাননি ক্লেইটন সিলভা। তবে রক্ষণ দারুণ খেলে। আওয়ে ম্যাচ হলেও স্টেডিয়ামে হাজির ছিল ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। তবে সাপোর্টারদের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। ম্লান মহেশ, নন্দকুমার। মুম্বইয়ের আক্রমণের ঝাপটা সামলাতে গিয়ে ওপরে উঠতে পারেনি লাল হলুদের উইং। বিরতির পরও দাপট মুম্বইয়ের। ম্যাচের ৫৭ মিনিটে বক্সের ওপর দিয়ে ভাসিয়ে দেন জয়েশ। চাংতে, বিনীতকে নামিয়ে বিপক্ষ রক্ষণে চাপ বাড়ায় মুম্বই। ম্যাচের ৭৪ মিনিটে লাল হলুদের নিশ্চিত পতন রোখেন প্রভসুখন গিল। বিপিনের ক্রস থেকে গ্রিফিথের শট বাঁচান ইস্টবেঙ্গল কিপার। শেষদিকে ঝড় তোলে মুম্বই। কিন্তু অনবদ্য রক্ষণ এবং গোলের নীচে প্রভসুখন ইস্টবেঙ্গলের হার বাঁচায়। ম্যাচের শেষলগ্নে সুযোগ পেয়েছিল কলকাতার প্রধান। ৮৯ মিনিটে দু"জন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে সরাসরি মুম্বইয়ের গোলকিপারের হাতে তুলে দেন ক্লেইটন।
মুম্বই সিটি এফসি - ০
আজকাল ওয়েবডেস্ক: একপেশে ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট নিয়ে ফিরছে লাল হলুদ। শনিবার মুম্বই সিটি এফসির সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করল ইস্টবেঙ্গল। বিপক্ষের ডেরায় লিগ শিল্ড জয়ীদের থেকে দু"পয়েন্ট ছিনিয়ে নিতে পারায় সন্তুষ্ট হবেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। শেষ দুই ম্যাচ ড্র হলেও তিন ম্যাচে ক্লিনশিট রাখল লাল হলুদ। যা স্প্যানিশ কোচকে তৃপ্তি দেবে। অনবদ্য রক্ষণ সংগঠন এবং দুর্দান্ত গোলকিপিং এদিন ইস্টবেঙ্গলকে এক পয়েন্ট এনে দেয়। মূলত প্রভসুখন গিলের গ্লাভসে আটকে গেল মুম্বই। আগাগোড়া আধিপত্য মুম্বইয়ের। মুহুর্মুহু আক্রমণ সত্ত্বেও গোলমুখ খুলতে পারেনি স্টুয়ার্ট, বিপিনরা। বিপক্ষের আগ্রাসী এবং প্রেসিং ফুটবলে কুয়াদ্রাতের দলের জেতার সুযোগ ছিল না। তবে এই ড্র ইস্টবেঙ্গলের নৈতিক জয়। বারবার লাল হলুদের পায়ের জঙ্গলে আটকে যাওয়ায় শেষদিকে হতাশ দেখায় মুম্বইয়ের ফুটবলারদের। কিন্তু বিপক্ষের জমাটে রক্ষণের ফাঁকফোকর খুঁজে বের করতে পারেনি চাংতেরা।
নর্থ ইস্টের বিরুদ্ধে পাঁচ গোলে জয়ের পর পাঞ্জাবের কাছে আটকে যায় ইস্টবেঙ্গল। এদিন মুম্বইয়ের সঙ্গে প্রথমার্ধ গোলশূন্য। আগের ম্যাচের দলে মাত্র একটি পরিবর্তন করেন কুয়াদ্রাত। নন্দকুমারের জায়গায় দলে ফেরেন বিষ্ণু। নর্থ ইস্ট ম্যাচে পরে নেমে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন নন্দ। পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে চেনা ছন্দে পাওয়া যায়নি তাঁকে। তাই এদিন আবার পরিবর্ত হিসেবে নামান স্প্যানিশ কোচ। ঘরের মাঠে প্রথম থেকেই দাপট ছিল মুম্বইয়ের। বিপজ্জনক দেখায় গ্রেগ স্টুয়ার্ট, পেরেরা ডিয়াজকে। সঙ্গে উইংয়ে বিপিনের গতি। কিন্তু ফিনিশিংয়ের অভাব। নতুন কোচের অধীনে প্রথম ম্যাচ ছিল মুম্বইয়ের। ম্যাচের ৩ মিনিটে প্রথম সুযোগ আইল্যান্ডার্সদের। পেরেরা ডিয়াজের ক্রস থেকে জয়েশ রানের হেড বাইরে যায়। নিশ্চিত সিটার মিস। ম্যাচের ৯ মিনিটে আবার সুযোগ নষ্ট। বিপিনের মাইনাসে পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ পেরেরা ডিয়াজ। মুম্বইয়ের মাঝমাঠের দায়িত্বে ছিলেন স্টুয়ার্ট। বেশ কয়েকটা ডিফেন্স চেরা পাস বাড়ান। কিন্তু কোনওক্রমে সামাল দেন হিজাজি, চুংনুঙ্গা, নিশু কুমাররা। প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গলের সুযোগ মাত্র একটা। ৩৩ মিনিটে বোরহার শট বাইরে যায়। প্রথমার্ধের খেলায় পাঁচটি হলুদ কার্ড দেখে দু"দলের ফুটবলাররা। এর থেকেই ম্যাচের টেম্পো বোঝা যাচ্ছে।
প্রথম ৪৫ মিনিটের অধিকাংশ সময় রক্ষণাত্মক ফুটবল লাল হলুদের। সেই অর্থে বলই পাননি ক্লেইটন সিলভা। তবে রক্ষণ দারুণ খেলে। আওয়ে ম্যাচ হলেও স্টেডিয়ামে হাজির ছিল ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। তবে সাপোর্টারদের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। ম্লান মহেশ, নন্দকুমার। মুম্বইয়ের আক্রমণের ঝাপটা সামলাতে গিয়ে ওপরে উঠতে পারেনি লাল হলুদের উইং। বিরতির পরও দাপট মুম্বইয়ের। ম্যাচের ৫৭ মিনিটে বক্সের ওপর দিয়ে ভাসিয়ে দেন জয়েশ। চাংতে, বিনীতকে নামিয়ে বিপক্ষ রক্ষণে চাপ বাড়ায় মুম্বই। ম্যাচের ৭৪ মিনিটে লাল হলুদের নিশ্চিত পতন রোখেন প্রভসুখন গিল। বিপিনের ক্রস থেকে গ্রিফিথের শট বাঁচান ইস্টবেঙ্গল কিপার। শেষদিকে ঝড় তোলে মুম্বই। কিন্তু অনবদ্য রক্ষণ এবং গোলের নীচে প্রভসুখন ইস্টবেঙ্গলের হার বাঁচায়। ম্যাচের শেষলগ্নে সুযোগ পেয়েছিল কলকাতার প্রধান। ৮৯ মিনিটে দু"জন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে সরাসরি মুম্বইয়ের গোলকিপারের হাতে তুলে দেন ক্লেইটন।
