আজকাল ওয়েবডেস্ক: হায়দরাবাদ এফসি শেষ মুহূর্তের গোলে তাদের তিন পয়েন্ট ছিনিয়ে নেওয়ায় হতাশ ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজোঁ। এই ফলের মধ্যেও ইতিবাচক দিক খুঁজে পেয়েছেন তিনি।

 জিকসন সিং ৬৪ মিনিটের হেডে গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন। ৯০তম মিনিটে মনোজ মহম্মদ সমতা ফেরান হায়দরাবাদের হয়ে। প্রায় জিতে নেওয়া তিন পয়েন্ট মাঠে ফেলে আসতে হয় ইস্টবেঙ্গলকে। 

 ব্রুজোঁ বলেন, ''আজ আমাদের সামনে দু’টি বিকল্প ছিল— ফলাফল ধরে রাখা অথবা ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা করা। আমরা দ্বিতীয় বিকল্পটি বেছে নিয়েছিলাম। নন্দকুমার  দ্বিতীয়ার্ধে অনেক সুযোগ তৈরি করেছে। আমরা বেশ কিছু বিপজ্জনক কাউন্টার-অ্যাটাকও করেছি, কিন্তু সেগুলো কাজে লাগাতে পারিনি। ম্যাচের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত যখন ব্যবধান ১-০ থাকে, তখন প্রতিপক্ষের একটি সুযোগই পুরো ম্যাচ বদলে দিতে পারে। আজ ঠিক ঠিক সেটাই হয়েছে।'' 
অ্যাওয়ে ম্যাচে তারা যে একাবেরই স্বচ্ছন্দ নয়, তা এ দিন আরও একবার প্রমাণিত হল। সব মিলিয়ে ছ’টি অ্যাওয়ে ম্যাচের মধ্যে চারটিতেই হেরেছে ইস্টবেঙ্গল। একাদশ স্থানেই রয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল।

এই ম্যাচে নিজেদের কৌশল নিয়ে অস্কার বলেন, “আজকের ম্যাচে আসল ছিল মাঝমাঠ। কেউ যদি প্রথম ৩০ মিনিট লক্ষ্য করে থাকেন, তা হলে নিশ্চয়ই দেখেছেন আমরা বেশি লং বল খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কারণ, আমরা জানতাম হায়দরাবাদ সক্রিয়। ওরা অনেক বল কেড়ে নেয়। তাদের শেষ ম্যাচে আমরা সেরকমই দেখেছিলাম। তাই আমরা ঝুঁকি নিতে চাইনি। বিরতিতে আমরা আমাদের মিডফিল্ডারদের আরও সক্রিয় হতে বলেছিলাম এবং লং বল খেলতে বারণ করি। এভাবেই আমরা ধীরে ধীরে মাঝমাঠে নিয়ন্ত্রণ নিতে সফল হই।'' 

 দলের সামগ্রিক উন্নতির দিকেই বেশি মনোনিবেশ করতে চান লাল-হলুদ কোচ। তিনি বলেন, “যতক্ষণ আমরা অ্যাওয়ে ম্যাচগুলিতে পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পারছি, ততক্ষণ আমাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আজ সবারই মনে হচ্ছে আমরা দু’পয়েন্ট হারিয়েছি। কিন্তু তা হয়েছে অ্যাওয়ে ম্যাচে।”


নতুন বছরে ইস্টবেঙ্গল এফসি তাদের প্রথম আইএসএল ম্যাচে মুখোমুখি হবে মুম্বই সিটি এফসি-র। ঘরের মাঠে ২০২৫-এর প্রথম ম্যাচে জিতে ছন্দে ফেরাই হতে চলেছে তাদের প্রধান লক্ষ্য।