আজকাল ওয়েবডেস্ক: আইএসএলে দশ নম্বর ডার্বি হয়ে গেল। ইস্টবেঙ্গল এখনও জিততে  পারল না মোহনবাগানের বিরুদ্ধে। 
শনিবারের ম্যাচে দলের লড়াই নিয়ে খুশি ও গর্বিত ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজোঁ। কিন্তু রেফারিং নিয়ে একেবারেই সন্তুষ্ট নন তিনি। ব্রুজোঁ বলছেন, ''অন্তত দুটো পেনাল্টি আমাদের দেওয়া হয়নি। আইএসএলে রেফারিং নিয়ে হতাশ।''

একের পর এক হার। ইস্টবেঙ্গল সেই এগারো নম্বরেই  রয়ে গেল। তবে সবুজ-মেরুনের বিরুদ্ধে লাল-হলুদের লড়াই প্রসঙ্গে অস্কার বলেন, “আমাদের ম্যাচের পরিকল্পনা প্রায় নিখুঁতভাবে কাজ করেছে। তবে শেষেরটুকু বাদে, যখন খেলা ওপেন হয়ে যায়। আমরা ওদের প্রত্যেক জায়গায় আটকেছি। সমস্ত ফাঁকা জায়গাগুলো বন্ধ করতে পেরেছি, বিশেষত উইংয়ে, যা মনবীর সিং, লিস্টন কোলাসোদের কাজ কঠিন করে তোলে। তিন সেন্টার-ব্যাক ও তিন মিডফিল্ডার নিয়েও মাঝমাঠে খেলার নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি মোহনবাগান। বড় কোনও সুযোগও ওরা তৈরি করতে পারেনি। তাই আমি আবারও বলছি, আমরা সঠিক পথ ধরেই সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।”

দলের খেলোয়াড়দের প্রচেষ্টার প্রশংসা করে অস্কার বলেন, “যে ফল হয়েছে, তা প্রত্যাশিত ছিল না। কিন্তু আমাদের দলের ছেলেদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করতেই হবে। তারা যথেষ্ট পরিশ্রম করেছে এবং ১০ জন নিয়ে খেলার পরও আমরা সুযোগ তৈরি করেছি, বিশেষ করে শেষ দিকে সেট-পিস থেকে। আগেও বলেছি, যখন আমরা জিতি, আমরা একসঙ্গে জিতি। যখন হারি, একসঙ্গেই হারি। কিন্তু ব্যক্তিগত ভুল নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এটা সত্যিই চিন্তার বিষয়, কারণ আমরা এর সমাধান খুঁজে পাচ্ছি না এবং একই ভুল বারবার করছি। আজ সেই একই ভুল হয়েছে, যা আমাদের মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে হারিয়েছে।”

নন্দকুমারকে বেঞ্চে রেখে ডেভিড লালনসাঙ্গাকে শুরু থেকে খেলানো নিয়ে প্রশ্ন উঠলে অস্কার বলেন, “ডেভিড আজ খুব ভাল খেলেছে। নিজেকে উজাড় করে দিয়েছে। ও মোহনবাগানের সেন্টার-ব্যাকদের চাপে ফেলে দেয় এবং ক্লেটন ও জিকসনকে মাঝমাঠেও সাহায্য করে। তাই, প্রথম একাদশ এবং সিস্টেম নিয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত সঠিকই ছিল বলে মনে হয়।”

লাল-হলুদ কোচ মনে করেন, “শেষ পনেরো মিনিটে, দশজন নিয়েও আমরা মাঠে সেরা দল ছিলাম এবং গোল করতে পারতাম। আমরা ঝুঁকি নিই এবং শেষ ১৫ মিনিটে যে কোনও দলই গোল করে দিতে পারত। মোহনবাগানও তখন দু-তিনটে বিপজ্জনক কাউন্টার-অ্যাটাক করেছিল। আমাদের ঝুঁকি নিতে হয়েছিল। আমরা চেষ্টা করেছি এবং শেষ পর্যন্ত যে গোল করতে পারিনি, এটাই খারাপ। এটাই দুর্ভাগ্যের।”