আজকাল ওয়েবডেস্ক: ‘আমি মনে করিয়ে দিতে চাই, এবারের ইস্টবেঙ্গল গতবারের ইস্টবেঙ্গলের থেকে পুরোপুরি আলাদা’। মরশুমের দ্বিতীয় এবং মূল দলের প্রথম ডার্বির আগের দিন সাংবাদিক সম্মেলনে এই লাইনটা দু’বার করে বলে গেলেন লাল হলুদ কোচ অস্কার ব্রুজো। এটা মোহনবাগানকে চাপা হুঁশিয়ারি দেওয়া নাকি এবারের দলের শক্তি ধারেভারে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, সেটা অস্কারই জানেন। কিন্তু রবিবারের ডার্বির আগে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী দেখাল লাল হলুদ কোচকে। মোহনবাগানকে নিয়ে তিনি যে ভাল মতো হোমওয়ার্ক করেছেন তা বোঝা গেল ভালমতোই।

সাংবাদিকদের প্রশ্নে বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েননি একবার, অত্যন্ত সংযত ভাবে ঠিক যেটুকু বলার দরকার সেটুকুই বললেন। আইএসএলের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নের বিরুদ্ধে নামার আগে ইস্টবেঙ্গল কি তৈরি? অস্কার জানালেন, ‘মোহনবাগান আগের মরশুমের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে, তবে আমাদের দলের মানসিকতা এবারে পুরোপুরি আলাদা। গতবারে আমরা ভাল পারফরম্যান্স করতে পারিনি। কিন্তু আমরা এবারে অনেক বেশি প্রস্তুত মোহনবাগানের মোকাবিলা করার জন্য। আমরা কতটা উন্নতি করেছি সেটা দেখানোর সুযোগ রয়েছে এই ম্যাচে’।

আরও পড়ুন: ভিন রাজ্যে মর্মান্তিক মৃত্যু এরাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকের, দেহ আনতে চাঁদা তুলছে গ্রামের লোক 

পাশাপাশি, গত কয়েকদিন ধরেই আলোচনার তুঙ্গে রয়েছেন জয় গুপ্তা। লাল হলুদের হয়ে অনুশীলনেও নেমে পড়েছেন তিনি। কিন্তু ডার্বিতে তাঁকে দেখা যাবে কিনা তা এখনও রহস্য। অস্কারও এদিন ধোঁয়াশাই রেখে দিলেন জয়কে নিয়ে। প্রতিপক্ষকে শ্রদ্ধা করে অস্কার জানালেন, ‘মোহনবাগান বর্তমানে সব ভারতীয় দলের কাছে বেঞ্চমার্ক। ডায়মন্ড হারবারের বিরুদ্ধে ম্যাচে ভাল খেলেছে। তবে আমরাও তৈরি’। বাবা মারা যাওয়ায় দেশে ফিরে গিয়েছেন মহম্মদ রশিদ। ডার্বিতে হয়তো তাঁকে পাবে না ইস্টবেঙ্গল। অস্কার জানালেন, রশিদ থাকছেন না, বিষ্ণু পুরো ফিট নন। বাকি সবাইকেই পাওয়া যাবে। তবে লাল-হলুদ কোচ যে রীতিমত হোমওয়ার্ক করে নিয়েছেন তা বোঝা গেল স্পষ্টই।

জানালেন, ‘মোহনবাগানেরও দুর্বলতা রয়েছে। দুনিয়ায় সব দলেরই দুর্বলতা রয়েছে। আমাদের সেটা খুঁজে বের করতে হবে। যাতে আমরা সেটাকে কাজে লাগাতে পারি’। অন্যদিকে, গত সমস্ত ডার্বির ফলাফল ভুলে রবিবারের ম্যাচেই মনোনিবেশ করছেন শৌভিক। জানালেন, ‘রশিদের জন্য একটা খারাপ খবর এসেছে। আমরা রশিদের জন্য জিততে চাই। ডার্বি জিতে ওকেই জয়টা উৎসর্গ করতে চাই’। রবিবারের ম্যাচে কাউকেই এগিয়ে রাখলেন না তিনি। জানালেন, ‘মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ সবসময় ফিফটি-ফিফটি। আমরা তৈরি, যেই সামনে আসুক না কেন। এটা বাঙালির আবেগের ম্যাচ। অতীত নিয়ে ভাবতে চাই না’।

আরও পড়ুন: জীবনের প্রথম ডার্বি ছিল 'অভিশাপ', হারিয়েই গেলেন ইস্টবেঙ্গলের 'অমূল্য' ফুটবলার, কেউ কি মনে রেখেছেন তাঁকে?