আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ লোকেশ রাহুলকে রাখতে চায়নি লখনউ সুপার জায়ান্টস। গতবারই ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। তিনি চলে এসেছিলেন দিল্লি ক্যাপিটালসে।


শেষটা বিতর্কিতভাবে হয়েছিল লোকেশ রাহুলের। এখনও কি সঞ্জীব গোয়েঙ্কার করা ‘অপমান’ ভুলতে পারেননি ভারতীয় ব্যাটার? ফের এলএসজি কর্ণধারকে ঘুরিয়ে কটাক্ষ করলেন তিনি। বললেন, বাইশ গজে কী চলে, তা ক্রিকেটের বাইরের লোকেদের বোঝা সম্ভব নয়।


সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে রাহুল বলেছেন, ‘‌আইপিএলের অধিনায়ক হয়ে সবচেয়ে যেটা কঠিন কাজ ছিল, সেটা হল বারবার মিটিং করা। যাঁদের মালিকানা রয়েছে, তাঁদের বোঝাতে হয় কী চলছে। সেটা সত্যিই যাবতীয় শক্তি শেষ করে দেয়। আইপিএলের শেষে শারীরিক ও মানসিকভাবে এতটা ক্লান্ত হয়ে পড়ি, যতটা ১০ মাস আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেও হই না।’‌ এরপরই তাঁর সংযোজন, ‘‌আইপিএলে প্রতি মুহূর্তে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। কেন ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? কেন ওই প্লেয়ারকে খেলানো হল? বিপক্ষ দল ২০০ করল, আমরা কেন ১২০ করতে পারলাম না। ওরা কেন বেশি স্পিন পেল? সারা বছর এই ধরনের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় না। কারণ সেখানে শুধু কোচ ও বড়জোর নির্বাচকদের উত্তর দিতে হয়। যাঁরা এর আগে ক্রিকেট খেলে এসেছেন এবং জানেন খেলার জগতে কী হতে পারে। ক্রীড়াক্ষেত্রে কোনও কিছুই নিশ্চিত নয়। তাঁরা সেটা জানেন। কিন্তু যিনি কখনও খেলাধুলো করেননি, তাঁকে বিষয়টা বোঝানো মুশকিল।’‌


রাহুলের এই কথা শুনে অনেকেই মনে করছেন, এটা লখনউ অধ্যায়ের প্রসঙ্গ টেনে বলা। ২০২৪–র আইপিএলের অন্যতম বিতর্কিত অধ্যায় ছিল লোকেশ রাহুল আর সঞ্জীব গোয়েঙ্কার ‘সংঘাত’। প্রকাশ্যে দলের অধিনায়ককে বকাবকি করছেন মালিক, এই দৃশ্য ঘিরে উত্তাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া। পরে সঞ্জীব গোয়েঙ্কা রাহুলকে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়ে বিবাদ মেটানোর চেষ্টা করলে শান্ত হয় পরিস্থিতি। তার পরেও কলকাতায় এসে গোয়েঙ্কার সঙ্গে দেখা করেছেন রাহুল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সমস্যা মেটেনি দু’পক্ষের। রাহুল লখনউ ছাড়লে দিল্লি তাঁকে কিনে নেয়।