আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২০১১ সাল, তারপর ২০২৫ সাল। এর মাঝে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে কোনও টেস্ট জেতেনি ইংল্যান্ড। অবশেষে, চলতি অ্যাশেজ সিরিজের চতুর্থ টেস্টে কাটল ১৫ বছরের খরা।
২০১১ সালের পর এই প্রথমবার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট জয়ের স্বাদ পেল ইংল্যান্ড। শনিবার মেলবোর্নে লড়াকু পারফরম্যান্সে চার উইকেটে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে অ্যাশেজের চতুর্থ টেস্টে সম্মান রক্ষা করল সফরকারী দল। তাও আবার বক্সিং ডে টেস্ট জয়।
মেলবোর্নে এই ঐতিহাসিক টেস্টে জেতা দল প্রতিপক্ষের কাছেও বরাবর সম্মান পেয়ে এসেছে। মাত্র দু’দিনেই শেষ হয়ে যাওয়া এই ম্যাচে ইংল্যান্ডের এই জয় এল একেবারে নাটকীয় পরিস্থিতিতে।
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ৯২,০৪৫ দর্শকের সামনে মধ্যাহ্নভোজের পরই অস্ট্রেলিয়াকে তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৩২ রানে আলআউট করে দেয় ইংল্যান্ড দল।
ফলে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য ছিল ১৭৫ রান। তবে এই রানেও ইংল্যান্ডকে যথেষ্ট বেগ দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। চাপের মুখে ছ’উইকেট হারালেও জেকব বেথেল এবং হ্যারি ব্রুকের সৌজন্যে ম্যাচ জেতে ইংল্যান্ড। শেষে হ্যারি ব্রুক ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন, সঙ্গে জেমি স্মিথ করেন ৩ রান।
এই জয়ের ফলে সিরিজে নিজেদের মর্যাদা কিছুটা হলেও ফেরাতে পারল ইংল্যান্ড। তবে পাঁচ ম্যাচের অ্যাশেজ টেস্ট সিরিজ ইতিমধ্যেই ৩-১ ব্যবধানে নিজেদের দখলে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
দ্বিতীয় দিনের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ব্যাটে নামেন বোল্যান্ড এবং হেড। শুরু থেকেই দাপট দেখান ইংলিশ বোলাররা। প্রথম ইনিংস যশ টাংয়ের হলে দ্বিতীয় ইনিংস ব্রাইডন কার্সের।
একাই ৪ উইকেট তুলে নেন তিনি। অধিনায়ক স্টোকস ৩ এবং যশ টাং নেন দুটি উইকেট। অ্যাটকিনসনের দখলে আসে একটি উইকেট। শুরুতে বোল্যান্ড তাড়াতাড়ি আউট হলেও ট্র্যাভিস হেড পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন। তবে ভাল শুরু করেও ৪৬ রান করে কার্সের বলে বোল্ড হয়ে ফিরতে হয় তাঁকে।
রান পাননি ওয়েদারেল্ড এবং লাবুশেন। তবে স্টিভ স্মিথ ২৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। কারণ, তাঁর নিচের সারিতে নামা ব্যাটারদের মধ্যে ক্যামেরন গ্রিন ছাড়া কেউ দু’অঙ্কের রানেই পৌঁছতে পারেননি।
অস্ট্রেলিয়া অলআউট হয়ে যায় ১৩২ রানে। রান তাড়া করতে নেমে ডাকেট(৩৪) এবং ক্রলি(৩৭) দু’জনেই কাউন্টার অ্যাটাক ক্রিকেট খেলা শুরু করেন।
তার ফল হিসেবে শুরু থেকে রান বাঁচাতে ডিফেন্সিভ মাইন্ডসেটে চলে যায় অস্ট্রেলিয়া। তিন নম্বরে আচমকাই দেখা যায় ব্রাইডন কার্সকে। সেই স্ট্র্যাটেজি ব্যর্থ হলেও চার নম্বরে বেথেলকে নামিয়ে সাফল্য পায় ইংল্যান্ড।
রুট দ্বিতীয় ইনিংসেও রান পাননি(১৫)। তবে হ্যারি ব্রুক অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে ফেরেন। পরপর তিন টেস্টে হারের পর ইংল্যান্ড দলকে ঘিরে বিতর্ক কম হয়নি।
বাজবল স্ট্র্যাটেজি, নুসা সফরে গিয়ে মদ্যপানের অভিযোগ উঠেছে গোটা দলের বিরুদ্ধে। প্রাক্তনীরাও আক্রমণ করেছেন ক্রিকেটারদের। তবে মেলবোর্নে জয়ে ফেরায় কিছুটা হলেও আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবেন বেন স্টোকসরা এমনটাই মনে করছে ক্রিকেটমহল।
