আজকাল ওয়েবডেস্ক: নিয়মরক্ষার ম্যাচ। এশিয়া কাপের ফাইনালে চলে গিয়েছে ভারত-পাকিস্তান। শুক্রবার ফাইনালের মহড়ায় নামে টিম ইন্ডিয়া। নির্ধারিত ওভারের শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে টিম ইন্ডিয়ার রান ২০২। টসে জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠায় শ্রীলঙ্কা। আবারও হিট অভিষেক শর্মা। আরও একটি অর্ধশতরান। আবার দলের ভীত গড়ে দেন বাঁ হাতি ওপেনার। ৩১ বলে বিধ্বংসী ৬১ রানের ইনিংস খেলেন। তাতে ছিল দুটি ছয় এবং আটটি চার। স্ট্রাইক রেট প্রায় দুশোর কাছাকাছি। তবে তাঁর বন্ধু ব্যর্থ। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রান পেলেও এদিন সুবিধা করতে পারেনি ভারতীয় ওপেনার। মাত্র ৪ রানে ফেরেন শুভমন গিল। আরও একবার রান পেলেন না সূর্যকুমার যাদব। আগের দিনই ভারতের টি-২০ অধিনায়কের ফর্ম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন সুনীল গাভাসকর। শুক্র রাতে আবারও ব্যর্থ স্কাই। মাত্র ১২ রানে ফেরেন। অধিনায়ক হওয়ার পর থেকে তাঁর পারফরম্যান্স গ্রাফ পড়তির দিকে। ব্যাট হাতে তেমন সাফল্য নেই। 

দলকে একাই টানছিলেন অভিষেক। পাওয়ার প্লের শেষে টিম ইন্ডিয়াকে ভাল জায়গায় পৌঁছে দেন। তিনি আউট হওয়ার পর দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন তিলক বর্মা এবং সঞ্জু স্যামসন। চতুর্থ উইকেটে ৬৬ রান যোগ করে এই জুটি। দু'জনেই রান পান। ২৩ বলে ৩৯ রান করে আউট হন সঞ্জু। তাতে ছিল তিনটি ছয়, একটি চার। অর্ধশতরানের থেকে এক রান দূরে থামেন তিলক বর্মা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সাফল্যের পর, শ্রীলঙ্কা ম্যাচেও রান পান বাঁ হাতি। ৩৪ বলে ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশ ম্যাচে সঞ্জুকে আট নম্বরে নামানো নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। এদিন আর সেই ভুল করেনি ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। পাঁচ নম্বরে নামেন সঞ্জু। তার ফায়দাও তোলেন। মারকুটে মেজাজে পাওয়া যায় ভারতীয় উইকেটকিপার ব্যাটারকে‌‌। তবে এদিন রান পাননি হার্দিক পাণ্ডিয়া। মাত্র ২ রানে আউট হন। তবে অভিষেক, তিলক এবং সঞ্জুর কাঁধে ভর করে দুশো রানের গণ্ডি পেরোয় ভারত। চলতি এশিয়া কাপে এই প্রথমবার। যা ফাইনালের আগে টিম ইন্ডিয়ার আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। নিয়মরক্ষার ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হয় যশপ্রীত বুমরাকে। তাঁর জায়গায় খেলেন হর্ষিত রানা।