আজকাল ওয়েবডেস্ক: ডায়াবেটিস হলে একাধিক বিধিনিষেধ মেনে চলতে হয় ঠিকই। তবে সব পছন্দের খাবার বন্ধ, এমনকি ফলমূলও; বিষয়টা কিন্তু এমন নয়। বিশেষ করে বেশিরভাগ ফলই তো মিষ্টি, তাই সেগুলি খাওয়া কি ঠিক হবে, এই প্রশ্নও ঘুরপাক খায়। ডায়াবেটিসে যদিও সঠিক ফল বাছাই করা এবং পরিমিত পরিমাণে খাওয়া জরুরি। তবে এমন কয়েকটি ফল রয়েছে যেগুলি ডায়াবেটিকরা নিশ্চিন্তে খেতে পারেন। 

সাধারণত যেসব ফলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৫৫–এর নিচে, সেগুলোকে ডায়াবেটিসবান্ধব বলা হয়। এই ফলগুলি পরিমিত পরিমাণে খেলে রক্তে শর্করা বাড়ার আশঙ্কা কম থাকে। যেসব ফলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৫৬-৬৯ এর মধ্যে বা এর বেশি, সেগুলো হিসাব করে খেতে পারেন। তাহলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কোন কোন ফল খাবেন, জেনে নিন-  

১. রাসবেরি- বেরি জাতীয় ফলের মধ্যে রসবেরি খুবই পুষ্টিকর। প্রতি ১০০ গ্রাম রাসবেরিতে ৫ গ্রাম সুগার থাকে। ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ এই ফল খেলে হার্টের স্বাস্থ্য ভাল থাকে, এটি অক্সিডেটিভ স্টেসকেও প্রতিরোধ করে।

২. অ্যাভোগাডো- সুগারের বদলে স্বাস্থ্যকর ফ্যাটে ভরপুর অ্যাভোগাডো। প্রতি ১০০ গ্রাম অ্যাভোগাডোতে ০.২ গ্রাম সুগার থাকে। এই পুষ্টিকর ফলে রয়েছে পটাসিয়াম, ভিটামিন ই ও কে। যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। 

৩. অ্যাপ্রিকট- মাঝারি মাপের অ্যাপ্রিকটে ৩.৯ গ্রাম সুগার থাকে। সঙ্গে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন এ ও সি। যা ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। অ্যাপ্রিকট ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের খুব ভাল উৎস। ডায়াবেটিসে অ্যাপ্রিকট নির্বিদ্ধায় খেতে পারেনন। 

৪. ব্ল্যাকবেরি- অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ ১০০ গ্রাম ব্ল্যাকবেরিতে ৪.৯ গ্রাম সুগার রয়েছে। এই ফলের ভিটামিন সি, অ্যান্থোসিয়ানিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং প্রদাহ কমায়। ফাইবার বেশি থাকে বলে ব্ল্যাকবেরি খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। 

৫. তরমুজ- মিষ্টি স্বাদের হলেও ডায়াবেটিসে তরমুজ খাওয়া যায়। কারণ ১০০ গ্রাম তরমুজে ৬ গ্রাম সুগার রয়েছে। জলের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে এই ফল খেলে হাইড্রেটেড থাকা যায়। এছাড়া তরমুজে রয়েছে ভিটামিন এ ও লাইকোপিন যা শরীরে যে কোনও রকম প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।