আজকাল ওয়েবডেস্ক: হলুদ শুধু একটি রঙ নয়। এটি আনন্দ, উষ্ণতা, আশা, নির্মলতা আর খোলা মনের প্রতীক। আর যদি এই সমস্ত গুণ একজন মানুষের ভেতরে একত্রে বসবাস করে? সেই মানুষটিকেই আজকাল বলা হচ্ছে—‘ইয়েলো পার্সন’।

এমন একজন, যিনি আপনার জীবনে ঝড় উঠলেও পাশে থেকে বলেন, “সব ঠিক হয়ে যাবে।” যাঁর সঙ্গে কথা বললেই ভার হালকা হয়, যাঁর হাসি যেন রোদেলা দুপুরের মতো গায়ে এসে পড়ে।

বর্তমানে সামাজিক মাধ্যমে ‘ইয়েলো পার্সন’ শব্দটি এক ধরনের আবেগ, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার প্রতীক হয়ে উঠেছে। কেউ কেউ সূর্যমুখী ফুল হাতে ছবি দিচ্ছেন প্রিয়জনকে উৎসর্গ করে, কেউবা আবেগময় ভিডিও বানাচ্ছেন তাঁদের সেই এক বিশেষ মানুষটির জন্য।

দিল্লির সম্পর্ক বিশ্লেষক রুচি রূহ বলছেন, “ইয়েলো পার্সনরা সাধারণত আশাবাদী, প্রাণবন্ত এবং আবেগগতভাবে নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে পারেন। তাঁদের পাশে থাকলে বোঝা যায়—ভালোবাসা মানেই শান্তি, উন্মাদনা নয়।”

তরুণ প্রজন্মের কাছে আজ ‘ইয়েলো পার্সন’ মানে সেই সম্পর্ক, যেখানে টানাপোড়েন কম, নির্ভরতা বেশি। গোলাপ নয়, এখন সূর্যমুখী—আলো ছড়ানো ভালোবাসার চিহ্ন।

মনোবিদ আকৃতি আস্থার মতে, এমন ইতিবাচক সম্পর্ক আমাদের শুধু মানসিক শান্তিই দেয় না, বরং দেহেও প্রভাব ফেলে—চাপ কমায়, হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

তবে, এই উজ্জ্বল মানুষগুলোরও ক্লান্তি আছে। তাঁরা সব সময়ই চনমনে থাকেন না, তাঁদেরও কখনো কখনো অন্ধকার লাগে। তাই ‘ইয়েলো পার্সন’দেরও বুঝতে হয়, তাঁদের উজ্জ্বলতাই যেন তাঁদের ভার না হয়ে দাঁড়ায়।

আর আমাদেরও মনে রাখা দরকার—আনন্দ বা প্রশান্তির মূল উৎস কারও ভেতরে নয়, নিজের ভেতরেই।
তবুও, জীবনে যদি একজন ‘ইয়েলো পার্সন’ থাকেন, তাহলে সেই আলোকে আঁকড়ে ধরা যায়, ঝড়ের রাতেও...ক্ষতি কি?