আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভিটামিন ডি শরীরের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। যার খাটতিতে হাড় ক্ষয়, একাধিক শারীরিক রোগ তো বটেই, প্রভাব পড়ে চুলে-ত্বকের স্বাস্থ্যে। সার্বিকভাবে কমে যায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। সারা বিশ্বে এখন ভিটামিন ডি-র ঘাটতি একটি বড় সমস্যা।
বেশ কিছু খাবারে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। তবে এই ভিটামিনের সবচেয়ে বড় উৎস হল সূর্য। আমাদের ত্বক সূর্যালোক থেকেই এই ভিটামিন তৈরি করে নেয়। এক্ষেত্রে প্রশ্ন আসতেই পারে, ভারতের মতো দেশে যেখানে সূর্য রশ্মির কোনও অভাব নেই, সেখানে সমীক্ষা বলছে, এদেশের অধিকাংশ নাগরিকের দেহে এই ভিটামিনের ঘাটতি রয়েছে। যার নেপথ্যে সূর্যের আলো দেহের স্পর্শ পায় না। আর যখন তখন নয়, সঠিক সময়ে রোদ পোহালেই শরীরে ভিটামিন ডি-এর খাটতি পূরণ হয়।
বিশেষজ্ঞদের মত, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টের মধ্যে সূর্যালোক ভিটামিন ডি-র খুব ভাল উৎস। সহজে বলতে গেলে, দিনের যে সময়ে আপনার ছায়া আপনার তুলনায় ছোট দেখবেন, ঠিক তখনই ত্বক সবচেয়ে ভাল ভিটামিন ডি তৈরি করতে পারে। দুপুরের দিকে মাত্র ১০ মিনিট সূর্যের আলোয় দাঁড়ালেই উপকার পাবেন। আর সর্বাধিক দাঁড়াতে পারেন ৩০ মিনিট। এর বেশি সময় দাঁড়ানোর প্রয়োজন নেই।
ভিটামিন ডি পেতে হলে অবশ্যই ত্বকে সরাসরি সূর্যের আলো লাগাতে হবে। পোশাক বা সানস্ক্রিন ত্বকে ভিটামিন ডি তৈরি হবে না। তাই মুখে সানস্ক্রিন মেখে বের হলেও হাত-পা বা শরীরের অন্য কোনো স্থান যেন উন্মুক্ত থাকে, সেই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। একইসঙ্গে দেহের যত বেশি অংশ খোলা রেখে রোদে পোহাবেন, ততই ভিটামিন ডি শোষণ বেশি হবে। সেক্ষেত্রে শুধু হাত-মুখ নয়, পা, পিঠ সহ শরীরের অন্যান্য অংশ খোলা রাখলে বেশি ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
সূর্যালোক থেকে ভিটামিন ডি তৈরিতে ত্বকের রং-এর উপর বিশেষ প্রভাব পড়ে। আসলে আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষের গায়ের রং শ্যামবর্ণ। যা শরীরে ভিটামিন ডি শোষণ হওয়ার ক্ষেত্রে একটি বাধা। কারণ, শ্যামবর্ণের ত্বকে মেলানিন নামক রঞ্জক পদার্থ বেশি থাকে। মেলানিন অতিবেগুনি রশ্মিকে বাধা দেয়। যেমন কারও ত্বকের রং যদি বেশি গাঢ় হয় অর্থাৎ ত্বকে বেশি মেলানিন থাকে তাহলে তা সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি প্রবেশে বেশি বাধা দেবে। ফলে ভিটামিন ডি উৎপাদন বিঘ্নিত হবে। তাই যাঁদের গায়ের রং যত গাঢ়, তাঁকে তত বেশি রোদে থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে গায়ের রং উজ্জ্বল হলে প্রতিদিন ২০ মিনিট সূর্যের আলোতে থাকলেই চলবে।
