আজকাল ওয়েবডেস্ক: আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে নিজের সেরা ফর্মে ধরা দিয়েছেন হার্দিক পাণ্ডিয়া।
৩২ বছর বয়সি এই অলরাউন্ডার ২৫ বলে ৬৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন, তার মধ্যে ছিল পাঁচটি চার ও পাঁচটি ছয়। তাঁর এই ইনিংসের সৌজন্যে ভারত নির্ধারিত ২০ ওভারে ২৩১ রানের বিশাল স্কোর তোলে।
ব্যাট হাতে তাণ্ডবের পাশাপাশি বল হাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন হার্দিক। বিপজ্জনক ব্যাটার ডেভল্ড ব্রেভিসকে আউট করে ভারতের জয়ের ভিত গড়ে দেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত ৩০ রানে ম্যাচ জেতে ভারত। নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ইনিংসের শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে ছিলেন হার্দিক। কর্ভিন বশের করা প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে নিজের ইনিংস শুরু করেন তিনি।
ম্যাচের পর ‘প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ’ পুরস্কার হাতে নিয়ে হার্দিক জানান, দিনটা যে তাঁরই হতে চলেছে, সেই বিশ্বাস আগেই ছিল।
হার্দিক বলেন, ‘ম্যাচের আগেই আমি আমার সতীর্থদের এবং আমার বান্ধবীকে বলেছিলাম, প্রথম বলেই এগিয়ে গিয়ে ছক্কা মারার চেষ্টা করব। মনে হচ্ছিল, আজ আমার দিন। আত্মবিশ্বাস ছিল যে এটা কাজে লাগবে।’
শুক্রবার বিধ্বংসী ইনিংসের মাধ্যমে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভারতের হয়ে দ্বিতীয় দ্রুততম অর্ধশতরানের রেকর্ডও গড়েন হার্দিক। এই তালিকায় তাঁর ওপরে কেবল যুবরাজ সিং।
পুরস্কার প্রসঙ্গে হার্দিক বলেন, ‘আমি কখনও প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ হওয়ার জন্য ক্রিকেট খেলি না। আমি সবসময় দেশের জন্য ম্যাচ জেতার লক্ষ্যেই খেলি।’
উল্লেখযোগ্যভাবে, ম্যাচ চলাকালীন গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন হার্দিকের বান্ধবী মাহিকা শর্মা। অর্ধশতরান পূর্ণ করার পর তাঁর দিকেই ফ্লাইং কিস ছুঁড়ে দেন ভারতীয় অলরাউন্ডার।
শুধু বশ নন, প্রোটিয়া বোলার জর্জ লিন্ডেকেও রেহাই করেননি হার্দিক। ১৪তম ওভারে লিন্ডের এক ওভারে চার বলে ২০ রান তোলেন তিনি।
এ বিষয়ে হার্দিক বলেন, ‘নিউ চণ্ডীগড়ে লিন্ডে আমাকে ভাল বল করেছিল, সেটা মাথায় ছিল। আজ পরিস্থিতি আমার ব্যাটিং স্টাইলের পক্ষে ছিল। হিসেব করে ঝুঁকি নিয়েছিলাম, আর সেটাই কাজে লেগেছে।’
পাঁচ ম্যাচের সিরিজে চারটি ম্যাচ খেলেন হার্দিক। সেখানে তাঁর ব্যাট থেকে আসে ১৪২ রান, যার মধ্যে রয়েছে দুটি অর্ধশতরান। বল হাতে তিনি নেন তিনটি উইকেটও।
ইনিংসের শুরুতেই প্রথম বলেই ক্রিজ ছেড়ে এগিয়ে এসে করবিন বশকে মিড-অফের উপর দিয়ে বিশাল ছক্কা হাঁকান হার্দিক।
বলটি বাউন্ডারি ছাড়িয়ে সোজা গিয়ে লাগে দলের ডাগআউটের পাশে দাঁড়ানো এক ক্যামেরাম্যানের গায়ে। ঘটনায় খেলা কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রাখতে হয় এবং ওই ক্যামেরাম্যানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
সৌভাগ্যবশত তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে আবার নিজের কাজে ফিরে আসেন। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর হার্দিক নিজে গিয়ে ক্যামেরাম্যানের খোঁজ নেন।
তাঁকে জড়িয়ে ধরেন এবং কাঁধে আইস প্যাক লাগিয়ে দিতেও দেখা যায় ভারতীয় তারকাকে। এই মুহূর্তের ভিডিও ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
