আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ অশান্ত বাংলাদেশ। এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (‌বিপিএল)‌ হবে কিনা তা নিয়ে। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ নির্দিষ্ট সময়েই হবে।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (‌বিপিএল)‌ এর গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব শাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, সিলেটে সময় মতো, অর্থাৎ ২৬ ডিসেম্বর থেকে প্রতিযোগিতা শুরু হওয়া নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আগেই বাতিল করা হয়েছে। শাখাওয়াত বলেন, ‘বিপিএল হওয়া নিয়ে এই মুহূর্তে কোনও সন্দেহ নেই। ২৬ তারিখ থেকে শুরু হবে। তবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে না। আমরা সংস্থাগুলির সঙ্গে ক্রমাগত আলোচনা করছি। তারা জানিয়েছে কোনও সমস্যা নেই। প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য মাঠ–সহ সবকিছু প্রস্তুত হয়ে গেছে।’


ঢাকা ক্যাপিটাল ফ্র্যাঞ্চাইজির চিফ এগজিকিউটিভ আতিক ফাহাদও টুর্নামেন্ট করা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। তিনি বলেছেন, প্রতিযোগিতা পিছিয়ে গেলে বা বাতিল হলে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি বড় সমস্যায় পড়বে। কারণ, প্রত্যেকেই প্রায় সব ব্যবস্থাই করে ফেলেছে। তিনি বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত আমরা প্রতিযোগিতা স্থগিতের আশঙ্কা করছি না। আমরা আত্মবিশ্বাসী। যদিও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত কিছু সমস্যা হয়তো তৈরি হতে পারে। তা অবশ্য বড় বিষয় নয়। সেগুলো সামলে নেওয়া যাবে।’ তাঁরা যে নির্দিষ্ট সময়েই অনুশীলন শুরু করে দেবেন, সে কথাও জানান ফাহাদ। তিনি বলেন, ‘আমরা ২১ তারিখ থেকে অনুশীলন শুরু করব। আমাদের দিক থেকে সবকিছু প্রস্তুত।’


এটা ঘটনা, বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, এবারের প্রতিযোগিতা ২৬ ডিসেম্বর সিলেটে শুরু হবে। ২৪ ডিসেম্বর ঢাকায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। নিরাপত্তার কারণে বোর্ড উদ্বোধনী অনুষ্ঠান স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়।


প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাত থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। শুক্রবার সকাল থেকেও একাধিক স্থানে বিক্ষোভ শুরু হয়। প্রথমে শাহবাগ। ধীরে ধীরে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে দেশের নানা জায়গায়। শুক্রবার দুপুরের পর চট্টগ্রামের পর রাজশাহীতে ভারতীয় উপদূতাবাসের সামনে ভিড় বাড়তে শুরু করে। 


তথ্য, ঢাকার ভারতীয় দূতাবাস এবং পাশাপাশি রাজশাহী, খুলনা, চট্টগ্রামে ভারতীয় উপদূতাবাস ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়। উঠতে থাকে নানা ভারত–বিরোধী স্লোগান। এর আগে, বুধবার বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহকে বিদেশমন্ত্রক তলব করার পরেই প্রতিবেশী দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি এবং ঢাকায় ভারতীয় মিশনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়তে থাকে। এর আগেও বিক্ষোভের পরিকল্পনা হলে, তা আটকে দেওয়া হয়েছিল। পরিস্থিতি বিচারে বৃহস্পতিবার রাজশাহী, খুলনার দুটি ভিসাকেন্দ্র বন্ধ করে দেয় ভারত।
বৃহস্পতিবার ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর পৌঁছতেই নতুন করে বিক্ষোভ ছড়ায়। রেহাই পাননি সাংবাদিকরা। প্রথম আলো এবং দ্য ডেলি স্টারের অফিসে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর চলে। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শুক্রবার দুপুরে বাংলাদেশের রাজশাহীতে অবস্থিত ভারতীয় উপদূতাবাসের উদ্দেশে মিছিল শুরু করে একদল বিক্ষোভকারী।