হঠাৎ করে রক্তচাপ বেড়ে গেলে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরা, বুকে চাপ বা বমিভাব-সই হতে পারে উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ। যার সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে মৃত্যুর ঝুঁকি পর্যন্ত বয়ে আনে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রক্তচাপ বেড়ে গেলে প্রথমেই শান্ত থাকতে হবে এবং ধীরে ধীরে শ্বাস নেওয়ার মাধ্যমে শরীরকে শিথিল করতে হবে। আতঙ্ক বা দুশ্চিন্তা রক্তচাপ আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।

চিকিৎসকদের পরামর্শ, হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে গেলে প্রথমে বসে পড়ুন এবং গভীরভাবে শ্বাস নিন। একটানা কয়েক মিনিট ধীরে ধীরে শ্বাস নিলে হার্টরেট কমে আসে, ফলে রক্তচাপও কিছুটা নামতে শুরু করে। এরপর এক গ্লাস জল পান করুন। শরীরের জলের ভারসাম্য রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কেউ কেউ ঠান্ডা জলে হাত-পা ধোয়ারও পরামর্শ দেন-এতে রক্ত সঞ্চালনে ভারসাম্য আসে এবং রক্তচাপ কিছুটা কমে। 

খাবারের দিকেও সতর্ক থাকতে হবে। নুন ও কফি-এই দুই উপাদান রক্তচাপ বাড়ায়, তাই রক্তচাপ বেড়ে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে এগুলো এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ। অন্যদিকে, কলা, বিট, ওটস বা নারকেল জল রক্তচাপ নামাতে সহায়ক হতে পারে। যদি কেউ নিয়মিত হাই ব্লাড প্রেশারের ওষুধ খান, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তা সময়মতো খেতে হবে। ওষুধ বাদ দিলে বা নিজের মতো করে ডোজ পরিবর্তন করলে বিপদ হতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘরে থাকা রক্তচাপ মাপার যন্ত্র দিয়ে প্রতি ১৫ মিনিট অন্তর প্রেশার পরীক্ষা করা উচিত। যদি দেখা যায়, রক্তচাপ ১৮০/১২০ বা তার বেশি, সঙ্গে বুক ব্যথা বা শ্বাসকষ্ট হচ্ছে-তবে দেরি না করে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। 

দৈনন্দিন জীবনে কিছু পরিবর্তন এনে এই সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। যেমন নিয়মিত হাঁটাহাঁটি, পর্যাপ্ত ঘুম, ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকা এবং নুনের পরিমাণ কমানো। স্ট্রেস কমাতে যোগব্যায়াম ও মেডিটেশনও দারুণ উপকারী। মোটকথা রক্তচাপ বেড়ে গেলে প্রথমে ঘাবড়ে না গিয়ে শান্ত থাকুন, সঠিকভাবে শ্বাস নিন, জল পান করুন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন।