আজকাল ওয়েবডেস্ক: মেডেল পাবেন প্রতীকা রাওয়াল। বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় মহিলা দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন প্রতীকা। কিন্তু বাংলাদেশ ম্যাচে চোট পাওয়ায় তিনি সেমিফাইনাল ও ফাইনাল খেলতে পারেননি। পরিবর্তে দলে নেওয়া হয় শেফালি ভার্মাকে।
শেষ মুহূর্তে বিশ্বকাপের দল থেকে ছিটকে যাওয়ায় ফাইনালের পর পদক পাননি প্রতীকা। যদিও তাঁর সেই আক্ষেপ মিটতে চলেছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি) ভারতীয় অলরাউন্ডারকে পদক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই প্রতীকা হাতে পাবেন বিশ্বজয়ের পদক।
লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ফিল্ডিং করতে গিয়ে পায়ে চোট পেয়েছিলেন প্রতীকা। তাঁর গোড়ালি ঘুরে যায়। সেই চোটের জন্য সেমিফাইনালের আগে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যান তিনি। তাঁর পরিবর্ত হিসাবে ভারতীয় দলে আসেন শেফালি ভার্মা। প্রতিকা ফাইনালে ভারতের ১৫ জনের দলে না থাকায় তাঁকে পদক দেওয়া হয়নি।
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, বিশ্বকাপজয়ী দলের ১৫ জন ক্রিকেটার পদক পান। হুইল চেয়ারে বসে সতীর্থদের সঙ্গে বিশ্বজয়ের সেলিব্রেশনে সামিল হলেও প্রতীকাকে গত ২ নভেম্বর রাতে সোনার পদক দেওয়া হয়নি। যদিও প্রতীকা বিশ্বকাপে চতুর্থ সর্বোচ্চ (৩০৮) রান করেছেন। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শতরান করে শেষ চারে ভারতের জায়গা নিশ্চিত করেছিলেন প্রতীকা।
পদক না পাওয়ার আক্ষেপ থাকলেও কিছু করার ছিল না ওপেনিং ব্যাটারেরও। তাঁর সেই আক্ষেপ মেটাতে উদ্যোগী হন আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ স্বয়ং। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে প্রতীকা নিজেই সুখবর জানিয়েছেন। বলেছেন, বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দিনই ব্যক্তিগতভাবে জয় শাহ তাঁকে পদক দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। প্রতীকা বলেছেন, ‘জয় শাহ আমাদের দলের ম্যানেজারকে মেসেজ করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, প্রতিকার জন্য আমি পদকের ব্যবস্থা করছি। এত দিন বিষয়টা বলিনি।’ প্রতিকা আরও বলেছেন, ‘আমাদের দলের এক সাপোর্ট স্টাফ তাঁর পদকের বাক্সটা আমাকে দিয়েছেন। পদকটা প্রথমবার দেখে কেঁদে ফেলেছি। আমি সাধারণত কাঁদি না। কিন্তু বিশ্বকাপের পদক দেখে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। এটা একদম অন্যরকম একটা অনুভূতি।’
বিশ্বকাপ জয়ের রাতে কী বলেছিলেন জয় শাহ? প্রতীকা বলেছেন, ‘সে দিনই জয় স্যার আমাদের বলেছিলেন, আইসিসির সদর দপ্তর থেকে তিনি একটি পদক পাঠাতে বলেছেন। সেটা আসতে কয়েক দিন সময় লাগবে। রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার আগে দলের এক জন সাপোর্ট স্টাফ তাঁর পদকটি আমাকে পরার জন্য দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, পদকটা যেন আমি নিজের মনে করেই পরি। কারণ আইসিসি দপ্তর থেকে আমার পদকটা এখনও এসে পৌঁছোয়নি।’
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেছিলেন বিশ্বজয়ী ক্রিকেটাররা। দু’টি অনুষ্ঠানেই প্রতীকার গলায় ছিল বিশ্বজয়ের পদক। তা দেখে জানতে চাওয়া হয়েছিল, বিশ্বকাপের পদক তিনি কোথায় পেলেন? তার উত্তরে আইসিসি চেয়ারম্যানের উদ্যোগের কথা বিশেষভাবে জানিয়েছিলেন প্রতীকা। যদিও শেষ খবর অনুযায়ী, পদক পেয়ে গিয়েছেন প্রতীকা।
