সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে এক কাপ চা না পেলে অনেকেরই দিন শুরু হয় না। বিগত কয়েক বছরে ঘরে ঘরে জায়গা করে নিয়েছে গ্রিন টি। স্ট্রেস কমানো থেকে শরীর, মনকে শান্ত করা, মেদ ঝরানো, সব কিছুর জন্যই উপকারী এই গ্রিন টি। কিন্তু এটি যখন ইচ্ছে তখন খাচ্ছেন? অজান্তেই ভাল করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনছেন না তো? জানুন কী বলছেন গবেষকরা। 

একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে গ্রিন টি-তে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে ত্বককে রক্ষা করে, ত্বক মেরামতিতে সাহায্য করে, কমায় প্রদাহ। কিন্তু এই সমস্ত উপকার বা গ্রিন টির সুফল পেতে সেটাকে সঠিক সময় খাওয়া জরুরি। সঠিক সময় না খেলে হিতে বিপরীত পর্যন্ত হতে পারে। যেমন অ্যাসিডিটি হওয়া, ঘুম না হওয়া, সঠিক পুষ্টি না পাওয়া, ইত্যাদি। 

বর্তমান সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় ডিটক্স পানীয় হল এই গ্রিন টি। বিশেষজ্ঞের মতে লিভার থেকে শুরু করে কিডনি, লাংস, ত্বক সব কিছুকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে এটি। গ্রিন টিতে থাকা ক্যাটেচিন প্রদাহ কমিয়ে লিভারকে সঠিকভাবে কাজ করতে দেয়। ধুয়ো, ধুলোর কারণে হওয়া ত্বকের ক্ষতি আটকায়। 
কী করে বুঝবেন যে ভুল সময় গ্রিন টি খাচ্ছেন? 

গ্রিন টি খাওয়ার পরে যদি গ্যাস হয়, বমি পায়, অস্বস্তি হয় তাহলেই বুঝবেন আপনি ভুল সময় গ্রিন টি খাচ্ছেন। ভুল সময় গ্রিন টি খেলে অনেক সময় ঘুম আসতেই চায় না। মাথা যন্ত্রণা হয়। 

তাহলে কখন খাবেন এটি?

মূলত খালি পেটে খাওয়া উচিত গ্রিন টি। খাবার খেয়ে, এমনকী যৎসামান্য কিছু খাওয়ার পরেও যদি এটি খাওয়া হয় তাহলে এতে থাকা জরুরি যৌগ উপাদান শরীর সঠিকভাবে শুষে নিতে পারে না। ফলে হয় একদম সকালে খালি পেটে গ্রিন টি খাওয়া উচিত। নইলে দুপুর এবং রাতের খাবারে মাঝামাঝি, যখন পেট খালি থাকবে তখন খাওয়া উচিত। খাবার খাওয়ার পর, ঘুমানোর আগে এটি কখনই খাবেন না। 

কীভাবে খাবেন গ্রিন টি?

সবসময় প্রোটিন সমৃদ্ধ, ভারী খাবার খাবেন গ্রিন টি খেয়ে। তবে যাঁদের অ্যানিমিয়া রয়েছে, বা পেটের অন্যান্য সমস্যায় ভোগেন তাঁরা চেষ্টা করবেন গ্রিন টি না খাওয়ার। অতিরিক্ত গ্রিন টি খাওয়াও বিশেষ উপকারী নয়। এতে হার্টের সমস্যা থেকে কিডনি বিকল হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।