আজকাল ওয়েবডেস্ক: হিমের পরশ গায়ে লাগলেই বুক দুরুদুরু। পৌষ মাস পড়তে না পড়তেই শীতে কাবু। জমিয়ে খাওয়া থেকে ঘুরতে যাওয়া, শীতকালে সবই চলে দেদার। শুধু স্নান করতে গেলেই যেন জ্বর আসে গায়ে। আট হোক কিংবা আশি, শীতের দিন স্নানের জলকে ভয় পান না এমন মানুষ বিরল। আর শীতকাতুরে হলে তো কথাই নেই। ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে অনেকেই স্নানে ফাঁকি দেন। কিন্তু এতে সাময়িক আরাম পেলেও শরীরের কোনও ক্ষতি হচ্ছে না তো! জানুন বিশেষজ্ঞদের মতামত।

শীত পড়তেই অনেকে রোজ স্নান করেন না।যার ফলে শরীরের নানা সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতের সময় বাতাসে দূষণ বাড়ে। ফলে ত্বকের উপর জমে ধুলোময়লা, যা অ্যালার্জি থেকে শুরু করে একাধিক জটিল সমস্যার কারণ হতে পারে। শুধু তাই নয়, স্নান না করলে ত্বকের উপর বাসা বাঁধে ব্যাকটেরিয়া। যার ফলে ইনফেকশন হতে পারে। তাই শীতে রোজ স্নান করা উচিত। 

এখানেই শেষ নয়, শীতকালে ঠান্ডা লাগার প্রবণতা বেশি থাকে৷ বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি ভোগেন৷ তাই স্বাভাবিক তাপমাত্রা ধরে রাখার জন্য নিয়মিত স্নান করা জরুরি। অন্যথায় শীতে সর্দি-কাশিতে ভুগতে পারেন। সঙ্গে সারাদিন গরম জামাকাপড় পরে থাকায় পেট গরম হওয়ারও আশঙ্কা থাকে। 

শীতকালে গরম না ঠান্ডা, কোন জলে স্নান করবেন, তা নিয়েও বিভ্রান্তি থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতে খুব ঠান্ডা জলে স্নান করলে জটিল অসুখ পিছু নিতে পারে। আবার খুব গরম জলে স্নান করাও ঠিক নয়। বরং ঈষ্ণৎ উষ্ণ গরম জলে স্নান করার স্নান করুন। এতেই শরীর থাকবে চাঙ্গা।