আজকাল ওয়েব ডেস্ক: চোখের সামনে চকোলেট, মিষ্টি দেখলেই টপাটপ মুখে চালান করেন? চিনি বিষ জেনেও কিছুতেই লোভ সামলাতে পারছেন না? কিন্তু চিনি খাওয়ার অভ্যাসে যে জাঁকিয়ে বসবে ডায়াবিটিস, চড়চড়িয়ে বাড়বে ওজন, শরীরে হানা দেবে একাধিক রোগ। বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যালকোহল ও তামাকের মতো চিনিও আসক্তিকর। অতিরিক্ত চিনি খেলে শরীরে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে, এটা তো গবেষণায় প্রমাণিত। তাই চিনির অন্য নাম ‘হোয়াইট পয়জন’ বা সাদা বিষ। 

পুষ্টিবিদদের মতে, একটু সতর্ক থাকলেই ডায়েট থেকে চিনি বা মিষ্টিজাতীয় কোনও খাবার বাদ দেওয়া যায়। আর তাতেই শরীরে একাধিক পরিবর্তন খেয়াল করতে পারবেন। তবে একদিনে অভ্যাস বদল করা কঠিন। তাই প্রথমে ১৪ দিন চিনি না খেয়ে দেখুন তো! কেমন ফলাফল দেখতে পাবেন? জেনে নিন সেই বিষয়ে। 

ডায়েট, শরীরচর্চা করেও ওজন কমচ্ছে না? শুধু ১৪ দিন চিনি খাওয়া বন্ধ করে দেখুন। তরতরিয়ে কমবে ওজন। আসলে মিষ্টি জাতীয় খাবার ও চিনি খেলে শরীরে সবচেয়ে বেশি ক্যালোরি যায়। যা হল ওজন বাড়ার অন্যতম কারণ। সঙ্গে অবশ্যই ডায়েট ও শরীরচর্চার দিকেও নজর দিতে হবে।

আজকালকার মেয়েদের মধ্যে খুবই সাধারণ পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম। আর এই রোগে ওষুধের থেকেও বড় দাওয়াই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা। তাই ডায়েট চিনি বাদ দিলে কমব ওজন, ফলে হরমোনের ভারসাম্য ঠিক থাকবে। 

মানসিক চাপ, ব্যস্ততার কারণে অনেকেরই রাতে ঠিকমতো ঘুম হয় না। কয়েকদিন চিনি থেকে দূরে থাকলে দেখবেন ঘুম ভালো হচ্ছে। স্নায়ুর উত্তেজনা বশে থাকবে। রাতে দুচিন্তা ভিড় করবে না। সারাদিন কাজে এনার্জি থাকবে।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, চিনি খেলেই গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা বাড়ে, তাই যাঁদের বাতের ব্যথা আছে তাঁরা ১৪ দিন চিনি না খেলেই তফাত বুঝতে পারবেন।

চিনি খাওয়া কমিয়ে দিলেই তার প্রভাব পড়ে ত্বকে। দেখে মনে হয়, কয়েক গুণ বয়স হঠাৎ করে কমে গেল! কারণ ইনসুলিনের ক্ষরণ বাড়লে মুখে কালচে ছোপ আসে। ফলে চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিলে কোশ থাকে তরতাজা। রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। 

বেশি চিনি খেলে হার্টের রোগের ঝুঁকিও বাড়ে। তাই হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমাতে চিনি খাওয়া বন্ধ করুন। লিভারের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতেও চিনি খাওয়া উচিত নয়।