আজকাল ওয়েবডেস্ক: আতঙ্ক ছড়াচ্ছে গুলেন বেরি সিনড্রোম। মহারাষ্ট্রে এই স্নায়ুরোগের বাড়বাড়ন্ত। সম্প্রতি পুনের এক ব্যক্তির মৃত্যুও হয়েছে। ইতিমধ্যে কলকাতাতেও থাবা বসিয়েছে এই রোগ। জটিল স্নায়ুবিক রোগের প্রভাব ছড়িয়ে পড়ছে গোটা দেশে।
গুলেন বেরি সিনড্রোম বা জিবিএস আসলে কী? বিশিষ্ট নিউরো বিশেষজ্ঞ ডা: সপ্তর্ষি বসু বলেন, "গুলেন বেরি সিনড্রোম হল অ্যাসেনডিক নিউরোপ্যাথি।" এটি স্নায়ুর এক বিরল রোগ। যা খুব অল্প সময়ের মধ্যে শরীরকে পক্ষাঘাতগ্রস্ত করে দিতে পারে। এই স্নায়ুর রোগে আক্রান্ত হলে রোগীর প্রথমে নিম্নাঙ্গে প্রভাব পড়ে। দুর্বলতা, অসাড়ভাব, হঠাৎ করেই পায়ে পিন ফুটছে বলে মনে হওয়া, জ্বালা, ঝিনঝিন ইত্যাদি উপসর্গগুলি প্রথমে পায়ে দেখা যায়। তারপর তা ক্রমশ শরীরের উপরের অংশে হয়। দুই পায়ের থেকে এইসব লক্ষণ দুই হাতেও ছড়িয়ে পড়তে পারে ।
ডা: বসু জানিয়েছেন, মূলত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হলেই এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। প্রথমে পায়েই হতে পারে প্যারালিসিস। শেষ পর্যায়ে ফুসফুসে আক্রমণ করে। তখন শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে। ডা: বসুর কথায়, গুলেন বেরি সিনড্রোম নতুন নয়। বহু বছর আগেও ছিল। জিবিএস- এর উপসর্গগুলি কয়েক সপ্তাহ ধরে স্থায়ী হয়। শুরুতেই চিহ্নিত হলে সঠিক চিকিৎসায় রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যান। তবে শেষ পর্যায়ে ধরা পড়লে রোগীকে ভেন্টিলেটরের সাপোর্টেও রাখতে হয়। যে কোনও বয়সেই এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এই রোগ ধরা পড়লে দ্রুত ইমিউনো গ্লোবিউলিন ইনজেকশন দিতে হয়।
অন্যদিকে, বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানিয়েছেন, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে এই রোগে। জিবিএস হওয়ার আগে গ্যাস্ট্রোইন্টেসটিনাল সমস্যা যেমন- গা-গোলানো, বমি ভাব, ডায়েরিয়ার মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। অনেক সময়ে কোনও ওষুধ বা প্রতিষেধকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াতেও এই রোগ হতে পারে।
