আজকাল অল্পবয়সেই জাঁকিয়ে বসছে ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরলের মতো বিভিন্ন ক্রনিক রোগ। যার জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তাই ইদানীং বাড়তি মেদ ঝরাতে অনেকেই বেশ কসরত করেন। কেউ দৌঁড়ান ট্রেডমিলে, কেউ বা ক্যালোরি মেপে মুখে তোলেন খাবার। আবার সময়ের অভাবে ‘শর্টকাট’ পন্থাও নিচ্ছেন অনেকেই। কিন্তু এতকিছু করেও যে সবসময় লাভ হয়, এমনটা নয়। আসলে ওজন জন্য শুধু কড়া ডায়েট নয়, মেনে চলতে হয় কয়েকটি সহজ নিয়ম। তবেই হাতেনাতে পাওয়া যায় সুফল। যার মধ্যে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর কয়েকটি সঠিক অভ্যাস শরীরের মেদ কমাতে সাহায্য করে। এই সব অভ্যাস রপ্ত করলে পারলে ওজন কমার সঙ্গে সার্বিকভাবে শরীর থাকবে ভাল।

•    ঘুম ভাঙার পর জল খানঃ রাতে ঘুমের সময় অনেকক্ষণ জল না খাওয়ায় শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে। তাই সকালে প্রথমেই জল করা উচিত। এতে বিপাক ক্রিয়া সচল হয়, খিদে নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং ফ্যাট কমানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়।

* নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে উঠুনঃ প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে উঠলে শরীরের প্রাকৃতিক ঘড়িকে বা সারকাডিয়ান চক্রকে ঠিক থাকে। ফলে ঘুমের অভাবজনিত ক্লান্তি কমে, মনোযোগ বাড়ে এবং শরীর সুস্থ থাকে। এটি পরোক্ষভাবে ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

আরও পড়ুনঃ লিভারের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ, রোজ খেলে দূরে থাকে হৃদরোগ! বিদেশি এই ফলের জাদুতেই ঠিকরে বেরবে ত্বক-চুলের জেল্লা

•    খালি পেটে থাকবেন নাঃ দ্রুত ওজন কমাতে উপোস করতে যাবেন না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। কিছুদিনের মধ্যে ফের ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সঙ্গে শরীরে দেখা দিতে পারে আরও অনেক সমস্যা। সকালে ঘুম থেকে উঠে বেশিক্ষণ খালি পেটে থাকলে শরীরে ফ্যাট জমতে শুরু করে।

•    শরীরিরভাবে সক্রিয় থাকুনঃ সকালে হালকা ব্যায়াম, স্ট্রেচিং বা হাঁটাহাঁটি করলে মেটাবলিসম বাড়ে। যা ক্যালোরি বার্ন করতেও সাহায্য করে। মেদ ঝরাতে শরীরচর্চা করছেন বটে, তবে সঠিক ব্যায়াম করা জরুরি। অনেকেই ভাবেন, কার্ডিও করলে দ্রুত ঝরে মেদ। তেমনটা কিন্তু নয়, বরং সব ধরনের এক্সারসাইজ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে করা উচিত। একইসঙ্গে সারাদিন সক্রিয় থাকুন। অর্থাৎ কমপক্ষে ৮০০০ পা হাঁটার চেষ্টা করুন। 

•    প্রোটিনসমৃদ্ধ ব্রেকফাস্ট খানঃ ডিম, দই, টোফু বা প্রোটিন স্মুদি জাতীয় খাবার সকালে খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং অতিরিক্ত ক্ষুধা কমে।

•    ঘুম থেকে উঠেই কফি বা চা পান নয়ঃ মেদ ঝরাতে হলে খালি পেটে চা কিংবা কফি খাওয়ার অভ্যাস ছাড়তে হবে। ব্রেকফাস্টের পরে চা-কফি পান করতে পারেন। এতে মানসিক সতর্কতা বাড়ায় এবং স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। একেবারে যদি চা বা কফি না খেয়ে থাকতে না পারেন তাহলে গ্রিন টি বা ব্ল্যাক কফি খান। 

•    মিষ্টি জাতীয় খাবার বাদ দিনঃ যে কোনও মিষ্টি খাবার যেমন কেক, পেস্ট্রি, সোডার মতো পানীয় শরীরে চর্বি জমায়। পরিবর্তে ব্রেকফাস্টে ফাইবার ও পুষ্টিগুণে ভরা ফল, শাকসবজি, ওটস এবং দানাদার খাবার বেছে নিন। প্রসেসড খাবার এড়িয়ে চলুন।