উত্তরপ্রদেশের গোমতিনগরে রাস্তায় এক মহিলাকে মারধরের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কয়েকজন ব্যক্তি এক মহিলাকে মাঝরাস্তায় শারীরিক হেনস্থা করছে, আর আশেপাশে দাঁড়ানো পথচারীরা ঘটনার ভিডিও তুলতে ব্যস্ত। ভিডিওতে দেখা যায়, দুই ব্যক্তি ওই মহিলাকে জোর করে ধরে রেখেছে, এক জন তাঁর ওড়না টানছে এবং হাত চেপে ধরে তাঁকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।

ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর উত্তরপ্রদেশে নারীর নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। কিন্তু এই ঘটনায় পুলিশ যে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে, তা নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে নেটিজেনদের মধ্যে। লখনউ পুলিশ জানিয়েছে, ৩ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে পারিবারিক বিবাদের কারণে ওই মহিলা রাগের মাথায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। ভিডিওতে দেখা ব্যক্তি তাঁর ভাগ্নে, যে তাঁকে বাড়ি ফেরাতে অনুরোধ করছিল।

পুলিশের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, অনেক বোঝানোর পর মহিলা নিজের পরিবারের সঙ্গে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন এবং ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় যে সব অভিযোগ আনা হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন ও মিথ্যা।’

তবে নেটিজেনরা পুলিশের এই ব্যাখ্যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, ‘ভাগ্নে হলে কি জোর করে টানাটানি করতে পারে?’ একজন মন্তব্য করেছেন, ‘এমন ভিডিও সমাজে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে আরও ভয় তৈরি করে। বাড়ি হোক বা বাইরে, নারী আসলে কোথাও নিরাপদ নয়।’
এই ঘটনাকে ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় পুলিশের ভূমিকা ও নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।

?ref_src=twsrc%5Etfw">November 5, 2025

ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নেটিজেনদের একাংশের দাবি, পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটনাটিকে ‘পারিবারিক বিবাদ’ বলে খারিজ করছে, যাতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও আইনি পদক্ষেপ করতে না হয়। অনেকেই বলেছেন, ভিডিওটি স্পষ্ট প্রমাণ দিচ্ছে যে, ওই মহিলার সঙ্গে প্রকাশ্যে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে—এটি কোনও পারিবারিক বিষয় নয়, বরং প্রকাশ্যে এক নারীর মর্যাদাহানির ঘটনা।

কেউ কেউ বলছেন, যখন একজন মহিলা রাস্তায় এভাবে হেনস্তার শিকার হন, তখন সেটি পারিবারিক ব্যাপার নয়, সেটি সমাজ ও আইনের বিষয়। তাঁদের দাবি, ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত এবং দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া প্রয়োজন, নইলে এমন ঘটনা বারবার ঘটতেই থাকবে।

অনেকেই মনে করছেন, সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিও কেবল একটি ঘটনা নয়, বরং নারীর প্রতি সমাজের উদাসীন মানসিকতার প্রতিচ্ছবি। তাঁদের মতে, পুলিশের পক্ষ থেকে এটিকে ‘পারিবারিক বিবাদ’ বলে উড়িয়ে দেওয়া আরও উদ্বেগজনক, কারণ এতে অপরাধীদের মনে প্রশ্রয়ের বার্তা পৌঁছয়।