আজকাল ওয়েবডেস্ক: জাপানিরা একদিকে যেমন দীর্ঘায়ুর অধিকারী তেমনই বুদ্ধিমান। ভুলো মন বা স্মৃতির সমস্যা প্রতিরোধে জাপানিরা কিছু কার্যকরী পদ্ধতি অনুসরণ করেন। তেমনই তিনটি পদ্ধতির হদিশ রইল, যেগুলি অবলম্বন করলে আপনিও ভুলো মন থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

১. কাইযেন
কাইযেন একটি জাপানি দর্শন, যার অর্থ হল ক্রমাগত ছোট ছোট উন্নতি। স্মৃতিশক্তি বা শেখার ক্ষেত্রে এর প্রয়োগ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। একবারে অনেক কিছু মনে রাখার চেষ্টা না করে, অল্প অল্প করে ধাপে ধাপে এগোনো। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে ছোট ছোট বিষয় অনুশীলন করলে মস্তিষ্কে তার গভীর ছাপ পড়ে এবং মনে রাখা সহজ হয়। এই পদ্ধতি দীর্ঘমেয়াদে স্মৃতিশক্তি ভাল করতে সাহায্য করে।

আরও পড়ুন - হামলা করতে গিয়ে উল্টে নিজেই নাস্তানাবুদ পাকিস্তান! জল-স্থল-আকাশপথে মুহূর্তে পুড়ল মুখ

আরও পড়ুন -  ভারতের ভয়ে যৌনতা বন্ধ পাকিস্তানে! নড়তেই ভয় পাচ্ছে পাক জনতা, তালা লাগবে যৌনপল্লী হীরামান্ডিতে?

২. স্পেসড রিপিটিশন
এই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কোনও তথ্য নির্দিষ্ট সময় পর পর পুনরাবৃত্তি করা হয়। জাপানে এই কৌশল পড়াশোনা এবং নতুন জিনিস মনে রাখার ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। যখন আমরা নতুন কিছু শিখি, তখন তা ভুলে যাওয়ার প্রবণতা থাকে। কিন্তু নির্দিষ্ট বিরতিতে সেই তথ্যটি বারবার দেখলে বা পড়লে তা আমাদের দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতিতে স্থান করে নেয়।

৩. মোজিতসুকি বা মাইন্ড ম্যাপিং
এই পদ্ধতিতে মনের মধ্যে যা কিছু এলোমেলোভাবে চলছে, সেগুলোকে লিখে ফেলা বা ছবি এঁকে সাজিয়ে নেওয়া হয়। কোনও বিষয় মনে রাখতে হলে, সেটিকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে, সম্পর্কযুক্ত অংশগুলোকে চিত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করলে তা সহজে মনে থাকে। এটি চিন্তাভাবনা গুছিয়ে আনতেও সাহায্য করে, যা স্মৃতিশক্তি ভাল রাখার জন্য জরুরি। এছাড়াও, জাপানিরা ধ্যান বা মেডিটেশনকেও (যেমন- জাজেন ফোকাস) দৈনন্দিন জীবনের অংশ করে নিয়েছে, যা মনোযোগ বাড়াতে এবং স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে সহায়ক।